নিজেকে কর্মীদের নেতা হিসেবে বর্ণনা দিলীপ ঘোষের

0 0
Read Time:4 Minute, 0 Second

নিউজ ডেস্ক::সম্প্রতি বিজেপির সদর দফতরে ঘর হারিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তা নিয়ে চর্চার শেষ নেই। ঝড় বইছে সমালোচনারও। বিজেপির অদি-নব্যের দ্বন্দ্বের ফল বলেও কতা উঠেছে। কিন্তু সেই সামালোচনা ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

শুক্রবার বিজেপি সদর দফতরে এসে দিলীপ ঘোষ বললেন, রাস্তায় বসে চাই খাই, বসার চিন্তা নেই! বসার কথা ভাবিও না। নিজেকে তিনি কর্মীদের নেতা হিসেবে বর্ণনা করেন এদিন। বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্যের যে চোরাস্রোত বইছে, তা উড়িয়েই তিনি বলেন, বিজেপি এককাট্টা হয়েই আগামী নির্বাচনে লড়বে।

একুশের পরই দিলীপ ঘোষের হাত থেকে ব্যাটন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তা তুলে দেওয়া হয়েছিল তরুণ-তুর্কি নেতা সুকান্ত মজুমদারের হাতে। তারপর থেকেই দিলীপ অনুগামী প্রথম সারিতে থাকা রাজ্য নেতারা পড়ে গিয়েছেন ব্যাকফুটে। তাঁদের আর বিজেপির সামনের সারিতে দেখাই যায় না!

তবে দিলীপ ঘোষ নিজে স্বীকার করেন না বিজেপিতে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব রয়েছে। ঘর নিয়েও তিনি বিতর্ক উড়িয়ে দিলেও খেদ ছিল তাঁর মনে। তিনি বলেন, আমি তো রাস্তায় বসে চা খাই, আমার বসার চিন্তা কী আছে। মুরলী ধর সেন লেনের দফতরে ঘরছাড়া দিলীপের অভিমান ছিল মনে।
তথাপি তিনি বলেন, রাস্তায় থাকা লোক আমি। আমি কর্মীদের নেতা। তাই আমার ঘরের প্রয়োজন হয় না। আমি রাস্তাতেই সাবলীল। ঘরের সংস্কার হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। আগেও হয়েছে ভবিষ্যতেও হবে, তা নিয়ে রাজনীতি ঠিক নয়। তিনি মনে করেন ওসব গৌণ। রাজনীতি করতে রাস্তায় থাকাই শ্রেয়।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইডি সমন প্রত্যাখান নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। তিনি বলেন, আমরা যারা নেতা-মন্ত্রী তাদের অনেক নির্ধারিত কর্মসূচি থাকে।এটা ঠিক বোঝা যায় না কে কখন কবে ডাকবে। তবে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতে অনেক কেস চলছে। সেগুলোতে নিয়ম করে আমাদেরকে হাজিরা দিতে হয়।

শুধু অভিষেক নয়, অভিষেকের বাবা-মাকে সমন ধরানো হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কাকে, কখন কী তদন্তের খাতিরে ডেকে পাঠানো হবে, সেটা গোয়েন্দা সংস্থা জানে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ওনার কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। তাহলে বলব এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। ওনাকে বন্ধন প্রকল্পের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়নি কেন এখনও।

কুর্মি আন্দোলনে কলকাতা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এদিন কুর্মি আন্দোলনে কলকাতা অবরুদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, যেকোনও জনগোষ্ঠী বা যে কেউ আন্দোলন করতে পারে। তবে কলকাতা পুলিশ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি, সেটা তাদের ব্যর্থতা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!