দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে তৃণমূলের রেল আবরোধ – ভোগান্তি যাত্রীদের
নিউজ ডেস্কঃ রেলের কোনো বিষয় নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের সময় রেল আবরোধ হয়। আর তার ফলে তীব্র ভোগান্তি হয় নিত্য যাত্রীদের। কিন্তু ইদানিং রেল বহির্ভুত কারণেও রেল আবরোধ করে রাজনৈতিক দলেরা। শিয়ালদহ-বারাসত শাখায় ফের যাত্রী ভোগান্তি। শুক্রবার বেলা বাড়তেই দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। বেলা ১১টা ১০ মিনিট থেকে আইএনটিটিইউসি পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে চলছে রেল অবরোধ কর্মসূচি। দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের কাছেই রেল লাইনের উপর বসে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা জেশপ কারখানা খোলার দাবিতে আজ রেল অবরোধ কর্মসূচি চালাচ্ছেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ ব্যানার নিয়ে অবরোধে বসে পড়েছেন জেশপের ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের সদস্য়রা। অফিস টাইমে এই রেল অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রেলযাত্রীরা। এতে কোনো সন্দেহ নেই বনধ আবারোধের কালচার এখানে এনেছিল বামেরা। কিন্তু তৃণমূল শাসনে আসার পরেই মমতা বলেছিলেন, বাংলায় কোনো বনধ আবারোধ হবে না। আর আজ সেই মমতার ছবি সামনে নিয়ে চলেছে ট্রেন আবারোধ।
দমদম ক্যান্টনমেন্টে এই রেল অবরোধের কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন যাত্রীরা। বনগাঁ, গোবরডাঙা, হাবরা, দত্তপুকুর, বারাসত, বসিরহাট, হাসনাবাদ, মধ্যমগ্রামের মতো স্টেশনগুলি থেকে প্রচুর যাত্রী সকালে ট্রেনে চেপে শহরে আসেন রুজি-রুটির টানে। কেউ শিয়ালদহ স্টেশন হয়ে, কেউ বিধাননগর হয়ে, কেউ দমদম জংশন হয়ে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে যান। সকাল বেলা হঠাৎ করে এই রেল অবরোধের ফলে নাজেহাল অবস্থা রেলযাত্রীদের। বেশ কিছু ট্রেন পর পর দাঁড়িয়ে পড়েছে স্টেশনে। দমদম ক্য়ান্টনমেন্ট স্টেশন সংলগ্ন রেল লাইনের উপর সংগঠনের ঝান্ডা, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অবরোধকারীরা। দাবি, অবিলম্বে জেশপের বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা খুলতে হবে। জানা নেই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি উত্তর দেবেন।