আরও ফাঁপড়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল
নিউজ ডেস্কঃ এবার কি তাহলে আরও ফাঁপড়ে পড়লেন রাজ্যের পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল? সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষাকবচ পেলেন না পর্ষদ সভাপতি। তিনি একাই নন, সহ সভাপতি পার্থ কর্মকারও রক্ষাকবচ পাননি সর্বোচ্চ আদালত থেকে। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল থাকছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন গৌতম পালকে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হবে। জেরার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো সিবিআই অফিস নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
বিচারপতি আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। সহযোগিতা না করলে তাদের দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবেন সিবিআই কর্তারা৷ প্রয়োজনে গ্রেফতার করেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওএমআর শিট বিকৃত করে নম্বর পাইয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও সেই ওএমআর স্ক্যান কপিও আসল নয়। এই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল আদালতে।
এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে পর্ষদ সভাপতিকে সিবিআই জেরার সামনে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওইদিন রাত এগারোটা নাগাদ গৌতম পাল বেরিয়েছিলেন জেরা শেষ হলে৷ গ্রেফতারির আশঙ্কা করছিলেন পর্ষদ সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারি।
এজন্য সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচের জন্য তারা পৌঁছে যান। মামলা উঠলেও রায় তাদের পক্ষে গেল না। সুপ্রিম কোর্ট তাদের কাউকেই রক্ষাকবচ দিল না। সুপ্রিম কোর্টে গৌতম পালরা জানান, তারা তদন্তে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছিল অনেক আগে ২০১৭ সালে। তাদের নিয়োগ ২০২২ সালে হয়েছে। তারা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্তও নন।
সব কিছু শোনার পরে পালটা প্রশ্ন করেন সুপ্রিম বিচারপতি। তারা তদন্তে সহযোগিতা করছেন। তাহলে কেন গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন গৌতম পালরা? আগামী শুক্রবার সিবিআইয়ের তরফেও বিচারপতির সামনে বক্তব্য রাখার কথা। ওই দিন শুনানির পর সুপ্রিম কোর্টের মনে হলে সুরক্ষাকবচ দেওয়া হবে।
অর্থাৎ, গৌতম পালদের অস্বস্তি থেকেই গেল। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দুজনকেই। এর মধ্যে কি সিবিআই ফের তাদের জেরার জন্য ডাকতে পারে? প্রশ্ন থাকছেই।