হুলস্থুলু পরে গেল সরকারি স্কুলে কিন্তু কেন এই হুলস্থুলু?
নিউজ ডেস্ক: স্কুল যেটা আমাদের কাছে শিক্ষার মন্দির সেখানে যেতে ভয় কেন পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা? রক্ষকই কী তাহলে আবার ভক্ষক? হরিয়ানায় জিন্দ জেলার একটি সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠলো যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এক-দুজন নয়, অন্তত ৫০ জন ছাত্রী একই অভিযোগ করেছে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেণু জানিয়েছেন প্রিন্সিপাল সুধু ছাত্রীদের কছে ঢেকে যৌন হেনস্তা করেননি তিনি রিতিমত ফোন এবং মেসেজ করেও অশালীন কথা বলতেন।
অভিযুক্ত তিনটি মোবাইল ব্যবহার করতেন যেগুলির কথা তার বাড়ির লোকও জানতেন না। যাতে তার কীর্তি-কলাপ বাইরে থেকে দেখা না যায় তারজন্য তিনি স্কুলের অফিস রুমের দরজায় ঘষা এবং রঙিন কাচ লাগিয়েছিল।প্রধান শিক্ষকের এই কাজে স্কুলেরই এক শিক্ষিকা জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। মহিলা কমিশনার রেণু ভাটিয়া আরও জানিয়েছেন, অভিযোগকারিণীরা প্রত্যেকেই নাবালিকা।এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশন। প্রাথমিকভাবে ১৩ সেপ্টেম্বর ছাত্রীর কাছ থেকে এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরেই সেটি থানায় ফরওয়ার্ড করে মহিলা কমিশন। কিন্তু ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন রেণু।অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিল ৫৫ বছর বয়সি ওই শিক্ষক। তাকে ধরার জন্য একাধিক দল গঠন করে তল্লাশি চালানো শুরু করে পুলিশ। অবশেষে সোমবার তাকে আটক করা হয়েছে।অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া রাজ্যের শিক্ষা দফতর চাকরি থেকেও বরখাস্ত করেছে ওই শিক্ষককে।