লিওনেল মেসির বিশ্বকাপের জার্সি নিলামে উঠছে
নিউজ ডেস্কঃ লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্তিনা বিশ্বকাপ জিতেছে। আর্জেন্তিনার কিংবদন্তির জার্সি এবার নিলামে উঠছে। যে জার্সিগুলি পরে মেসি খেলেছেন ফিফা বিশ্বকাপে।সথেবি’স (Sotheby’s) নামে যে সংস্থা নিলামের দায়িত্বে রয়েছে তাদের দাবি অনুযায়ী মেসির বিশ্বকাপের জার্সি রেকর্ড দরে বিক্রি হতে পারে। ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি দর ওঠার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।কাতার বিশ্বকাপে যে জার্সিগুলি পরে মেসি খেলেছিলেন তার মধ্যে ৬টি নিলামে তোলা হচ্ছে। নিলাম পরিচালনা করবে যে সংস্থা তাদের আশা, ক্রীড়া স্মারক নিলামের ক্ষেত্রে নয়া রেকর্ড হতে চলেছে। ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি দর উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকছে না। নিউ ইয়র্কে নিলাম আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রথমার্ধে যে জার্সিগুলি পরে মেসি খেলেছিলেন তার মধ্যে ৬টি নিলামে রাখা হচ্ছে। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে নাটকীয়ভাবে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্তিনা। সেই ফাইনালের একটি জার্সিও থাকছে নিলামের ৬টি জার্সির মধ্যে। উল্লেখ্য, মেসি অনেক ফুটবলারের মতোই খেলার শেষে নিজের জার্সি প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে দেন। সে কারণেই প্রথমার্ধের জার্সির আধিক্য।নভেম্বরের ৩০ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ১৪ তারিখের মধ্যে মেসির জার্সিগুলি নিলামে তোলার কথা জানিয়েছে লন্ডনের সংস্থাটি। বিডিং চলাকালীন নিউ ইয়র্কে সংস্থার দফতরে গিয়ে জার্সিগুলি বিনামূল্যে দেখার সুযোগ পাবেন ফুটবলপ্রেমীরা। এসি মোমেন্টোর সঙ্গে একযোগে এই নিলামের যাবতীয় প্রস্তুতি সারছে সথেবি’স।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাইকেল জর্ডনের ১৯৯৮ সালের এনবিএ ফাইনালের জার্সি বিক্রি হয়েছিল ১০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। জর্ডনের জার্সির নজির মেসির জার্সি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী সথেবি’স। ফুটবলের কোনও স্মারকের সর্বাধিক দর ওঠার নিরিখে এগিয়ে দিয়েগো মারাদোনার জার্সি।১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্তিনা।
সেই ম্যাচেই হ্যান্ড অব গডের ঘটনা ঘটে। মারাদোনা হাত দিয়ে গোল করেছিলেন বলে কুখ্যাত সেই ম্যাচ। সেই ম্য়াচে মারাদোনা যে জার্সি পরে খেলেছিলেন তা ২০২২ সালে লন্ডনের নিলামে ৯.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করেছিল সথেবি’স। মারাদোনার পর আর্জেন্তিনা বিশ্বকাপ জেতে মেসির নেতৃত্বেই। ফলে পূর্বসূরীর জার্সির রেকর্ড দর ভেঙে দিতে পারে অনুজ মেসির জার্সি।
নিলাম থেকে সংগৃহীত অর্থ ইউএনআইসিএএসের প্রকল্পে অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে। বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য একটি শিশু হাসপাতালের সঙ্গে গাঁটছড়া রয়েছে লিও মেসি ফাউন্ডেশনের। সেখানেই এই অর্থ যাবে বলে জানানো হয়েছে।