মধ্যযুগীয় স্টাইলে ডাকাতি বর্ধমানের আউশগ্রামে
নিউজ ডেস্ক::আধুনিক বিশ্বে এইভাবে ডাকাতি এখন আর হয় না। বহুদিন পরে এই ধরনের ডাকাতি দেখা গেলো। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৫-১৬ জনের দুস্কৃতীদল আউশগ্রামের পলাশতলাপাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দিয়ে পরিবারের লোকজনদের হাত পা,মুখ বেঁধে লুঠ করে নিয়ে গেল কয়েকলক্ষ টাকার গহনা ও নগদ টাকা। লুঠ করেছে বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা এবং পরিবারের কয়েকজনের ভোটার আধার এবং প্যানকার্ড গুলিও। আউশগ্রাম থানা থেকে কিছুটা দুরেই এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের খবর নেই। আউশগ্রামের পলাশতলা পাড়ার বাসিন্দা অনিলকান্তি দত্তের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সকলেই স্তম্ভীত এমন ডাকাতির কথা শুনে।
জানা গিয়েছে অনিলকান্তি বাবুর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে অপূর্ব দক্ষিণ আফ্রিকায় চাকরি করেন। তিনদিন আগে বাড়ি আসেন। এছাড়া দুই ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। মেজ ছেলে অনুপ দত্তের সাতদিন আগে বিয়ে হয়েছে। তবে অনুপবাবু ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। অনিলকান্তি দত্ত জানান রাত প্রায় সাড়ে বারোটা। তখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। সেসময় বারান্দায় গেটের তালা ভেঙে দুস্কৃতীরা ঢোকে। অনিলকান্তিবাবুর ঘরের দরজায় খিল দেওয়া ছিল না। তার ঘরে ঢুকে দুস্কৃতীরা হাত পা বেঁধে ফেলে রাখে। তখন অনিলকান্তি বাবুর চিৎকারের আওয়াজ শুনে ছেলে অপূর্ব ওই ঘরে এলে তাকেও হাত পা বেঁধে রাখে।
দুস্কৃতীরা দল ভাগ করে চারটি ঘরেই ঢুকে যায়। বাড়ির পুরুষ ও মহিলাদের অস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট চালাতে থাকে। অপূর্ব জানান তিনি প্রথমে বুঝতে পেরে তার এক বন্ধুকে ফোন করে ডাকাতির ঘটনা বলেন। ওই বন্ধু তাদের বাড়ির সামনে এসে ডাকাডাকি করতে থাকলে তার দিকেও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তেড়ে যায় দুস্কৃতীরা। তিনি ভয়ে পালিয়ে যান। তারপর লোকজনদের খবর দেন। লোকজন জড়ো হয়ে আসার আগেই দুস্কৃতীরা পালিয়ে যায়।