টেট ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
নিউজ ডেস্ক::রাজ্যে শুরু হল টেট পরীক্ষা। রবিবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়েই ব্যস্ততা। অন্যতম বড় পরীক্ষা রাজ্যে। এই টেট নিয়েই বহু বিবাদ হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। চলতি বছরের শেষ বেলায় আজ রবিবার টেট পরীক্ষা।
আজ প্রাথমিক টেট। রাজ্য জুড়ে মোট ৭৭৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হচ্ছে। মোট ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন চাকরি প্রার্থী এবার পরীক্ষায় বসলেন বলে খবর। এই নিয়ে পরপর দু’বছর টেট পরীক্ষা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, প্রাথমিকের মোট ১১,৭৬৫ টি আসন খালি রয়েছে। সেই আসনগুলিতে নিয়োগ হবে।
এদিন রবিবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় প্রাথমিক টেটের পরীক্ষা। দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত পরীক্ষা। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় নির্দিষ্ট ছিল। পরীক্ষার্থীরা সেই মতো কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে গিয়েছেন। পরীক্ষার্থীরা যাতে ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেন। সেজন্য সচল রয়েছে পরিবহণ ব্যবস্থা।
চেতলা গার্লস, বাগবাজার মাল্টিপারপাস, শিয়ালদহ টাকি বয়েজ, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, দমদমের কুমার আশুতোষ ইন্সটিটিউশন। কলকাতার এই পাঁচটি কেন্দ্রে টেটের পরীক্ষা হচ্ছে। প্রায় ২২০০ পরীক্ষার্থী কলকাতায় পরীক্ষায় বসেছেন বলে প্রাথমিক খবর। এছাড়াও রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই টেট পরীক্ষা হচ্ছে।
এই নিয়ে পরপর দুই বার রাজ্যে টেট পরীক্ষা হল। কিন্তু, নিয়মিত টেট হলেও নিয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেও টেট হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন বটে। কিন্তু আইনি জটে নিয়োগ সম্ভব হয়নি। তার মধ্যেই এবার ফের রাজ্যে টেট পরীক্ষা।
সকাল থেকেই দেখা যায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সামনে পুলিশি নিরাপত্তার কড়াকড়ি। পরীক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখেই ভিতরে যেতে দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনওভাবে পরীক্ষায় সমস্যা না হয়, সেদিকে নজরদারি চলছে। শুধু তাই নয়, স্কুলের সামনের রাস্তাগুলিতেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এত কিছু পরেও প্রশ্ন, নিয়োগ কবে হবে? কত জন চাকরি পাবেন শিক্ষক পদে? দীর্ঘ সময় ধরে চাকরি নেই। আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে থাকছেন দীর্ঘ সময় ধরে৷ আদালতে একের পর এক মামলার শুনানি হচ্ছে। তবে আইনি জট কেটে নিয়োগ হবে বলেই আশাবাদী পরীক্ষার্থীরা।