আইপিএলের টাইটেল স্পনসর নিয়ে ‘চিনা’ সতর্কতা বিসিসিআইয়ের
নিউজ ডেস্ক::টাটার সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে চলতি বছরেই। ফলে আইপিএলের নতুন টাইটেল স্পনসরের খোঁঝ শুরু করে দিয়েছে বিসিসিআই। দুই সপ্তাহ আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৮ সাল পর্যন্ত টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসর চেয়ে দরপত্র আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে নতুন টাইটেল স্পনসর নিয়ে বেশ সকর্ত বিসিসিআই।
কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই চিনের সংস্থা ভিভোকে নিয়ে বিপাকে পড়ে বিসিসিআই। ২০২০ আইপিএলে চিনের সংস্থাকে স্পনসর রাখা নিয়ে প্রভূত সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। চিনের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনার জেরে স্পনসরশিপ থেকে চিনা কোম্পানিকে সরাতে বাধ্য হয় বোর্ড। বর্তমানে চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় ভারতের। এবার চিনা কোম্পানি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে বিসিসিআই।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুসারে, যে সব দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, সেই সব দেশের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে অনীহা প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট চিনা সংস্থা বা ব্র্যান্ডের দরপত্র হয়তো তারা বরদাস্ত করবে না। এখানেই শেষ নয় এবার টাইটেল স্পনসর নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করছে বিসিসিআই।
আইটিটি জানিয়েছে, যে সমস্ত সংস্থা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে পারফরমেন্স ওয়্যার এবং স্পোর্টসওয়্যারে কাজ করবেন, তাঁরা এই সুযোগ পাবেন না। এছাড়া কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করা সংস্থাগুলিকে অনুমতি দেওয়া হবে না বিড করার জন্য। এছাড়াও জুয়া, বেটিং ফার্ম,, ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, এবং অ্যালকোহল পণ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত সংস্থাগুলির দরপত্র বাতিল করা হবে।
আসলে আইপিএলের ভাবমূর্তি যাতে কোনওভাবেই নষ্ট না হয় তারজন্য বাড়তি সতর্ক বিসিসিআই। বর্তমানে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু আকাশ ছোয়া। বিসিসিআই চাইছে না এমন কোনও সংস্থাকে আইপএলের সঙ্গে যুক্ত করতে যাতে ব্র্যান্ড ভ্যালু ধাক্কা খায়।
আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য আগ্রহী সংস্থাগুলিকে বেশকিছু শর্তপূরণ করতে হবে। ফেরত অযোগ্য ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দরপত্র কিনে তা জমা করতে হবে আগ্রহী সংস্থাকে। এরসঙ্গে অতিরিক্ত জিএসটি করও দিতে হবে। ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র কেনা যাবে।
২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ছিল ডিলএফ। স্পনসরশিপ ফি হিসেবে বার্ষিক ৪০ কোটি টাকা দিত তারা বিসিসিআইকে। বর্তমানে বোর্ডের লক্ষ্য বছরে ৩৬০ কোটি টাকা।