রাজনীতির বাজারে সাধু সন্তদেরও ছাড়তে রাজি না মমতা

0 0
Read Time:2 Minute, 46 Second

নিউজ ডেস্ক ::’ভোট’ এক আশ্চর্য বিষয়। এই ভোটের জন্য মানুষের সেন্টিমেন্টকে সুড়সুড়ি দেওয়া রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ভালো অভ্যাস। কেউ রামমন্দির তো কেউ জগন্নাথ মন্দির। তাই এতদিন ছিল সাধুদের খুশি করার প্রতিযোগিতা। এবার সরাসরি আক্রমন। শনিবার আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে গোঘাটে এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন সাধুরা সব এখনো রাজনীতি করছেন। নির্বাচনী জনসভা থেকে বাম জমানায় গোঘাটে সন্ত্রাসের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বামেদের হামলায় আক্রান্তদের কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন সাহায্য করেছিলেন বলে জানান মমতা। তবে এরপরই ‘আজকের দিনের সাধুদের নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘সব সাধু এক হন না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবা‌ই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে… কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না… সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না’।

নাগরিক মহল বলছেন,আসল কথা হলো, বিজেপি হিন্দু সেন্টিমেন্টকে বেশ কাজে লাগাতে পেরেছে। এর পরেই পরা ধমকের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কে কে এই সব করছে, আমি তাদের চিহ্নিত করছি। আমি রামকৃষ্ণ মিশকে কোন সাহায্যটা করিনি। সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সমর্থন করেছিলাম আপনাদের। সিপিএম কিন্তু তখন আপনাদের কাজ করতে দেয়নি। আর আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে… দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়। কেন সাধুরা এই কাজ করবেন? রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই সম্মান করে।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!