ঘাটালে ঝুমি নদীর উপর সেতু নির্মাণ নিয়ে সংকটে প্রশাসন
নিউজ ডেস্ক ::এখানেও সমস্যা সেই জমি অধিগ্রহণ। অনেকেই মনে করেন, সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ আন্দোলকে কেন্দ্র করেই পতন ঘটে ৩৪ বছরের বাম আমালের। আবার ঘটালে সেই জমি অধিগ্রহণ নিয়েই সমস্যা। ঘাটালে মনসুকায় ঝুমি নদীর উপর ভগবতী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই দেখা দিয়েছে ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে জমির জটিলতা। পুনর্বাসনের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। জট কাটাতে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। ব্রিজ তৈরিতে কয়েক বছর পার হলেও এখনও ব্রিজের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ । একদিকে কাজের ঢিলেমি নিয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, অন্যদিকে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রশাসনের সমস্যা।
জানা যাচ্ছে,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের মানসুকা এলাকার ঝুমী নদীর উপর,একটি কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের দাবি তুলেছিল শতাধিক গ্রামের মানুষ। সেই দাবীকে মর্যাদা দিয়ে যাতায়াতের সুবিধার্থে ঝুমি নদীর উপর ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে ভগবতী সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রায় ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এই সেতুর জন্য। কিন্তু কাজ এগোচ্ছে না। একাধিকবার জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়। কিন্তু এখনও কয়েক বছর পেরিয়ে সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়নি।
এবার প্রকাশ্যে এলো জমি অধিগ্রহণ সমস্যা। সেতুর একদিকের অর্থাৎ হুগলির দিকে সেতু সংযোগকারী রাস্তা হলেও অন্য দিকে অর্থাৎ ঘাটালের দিকে সেতু সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে জমি জটিলতা দেখা দিয়েছে। ভাঙতে হবে একটি কাঠ মিল ৪ টি বসতবাড়ি, পড়বে বেশ কিছু কৃষি জমি। পুনর্বাসনের দাবি, বাড়ি মালিকদের। সংযোগকারী রাস্তার জন্য চাই ৪২০মিটার জমি। এই সমস্যা নিয়ে শুরু হয় জটিলতা, সমস্যা মেটাতে বসে প্রশাসনিক বৈঠক। এখন দেখার কিভাবে এই জট মেটে!