শুভেন্দু অধিকারীর চোখে ‘আসল বাংলা’য় কোন কোন ঘটনা উঠে এল
নিউজ ডেস্ক ::সাম্প্রতিক সময়ে গত কয়েকদিনে কলকাতাই হোক কিংবা ঝাড়গ্রাম, গণ পিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক ব্যক্তির। কোথাও আবার শাসকদলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সেইসব ঘটনা নিয়েই সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এইসব ঘটনায় রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। এটাই আসল বাংলার ছবি বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পরপর চার ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চোখে প্রথম ঘটনা হিসেবে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের চোপড়ার সালিশি সভার ঘটনা। সেই ঘটনাকে তিনি তালিবানি আইন বলেও বর্ণনা করেছেন। যেখানে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজেমুল ওরফে জেসিবি জনসমক্ষে একজন মহিলাকে বেত্রাঘাত করেছেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূল বিচার পরিচালনা করছে এবং রাস্তায় তাৎক্ষনিক ন্যায়বিচার তথা শাস্তি প্রদান করছে।
হাওড়ার বাঁকড়ার ঘটনা শুভেন্দু অধিকারীর তালিকায় দ্বিতীয়। বাঁকড়ার মুন্সিডাঙ্গার শেখপাড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এসকে-এর নেতৃত্বে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। একদিকে শেখ মিন্টু এবং অন্যদিকে শেখ ফারুক। অবৈধ নির্মাণ নিয়ে হওয়া সংঘর্ষে তৃণমূল নেতা শেখ মিন্টুকে বোমা-বন্দুর হাতে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে।
তৃতীয় ঘটনা হিসেবে বিরোধী দলনেতা উল্লেখ করেছেন কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গার রাঙ্গামাটি গ্রামে দলের মহিলা নেত্রীর ওপরে হামলার ঘটনাকে। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, গত ২৫ জুন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চা নেত্রী “অপরাজিতা”-কে শ্লীলতাহানি ও মারধর করা হয়েছে। তাঁকে বলপূর্বক পোশাক খুলে নেওয়া হয়। শ্লীলতাহানিও করা হয়। নির্মম ও নির্দয়ভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, তাঁর একমাত্র দোষ হল তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত এবং সম্প্রতি সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের সময় ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন।
বিরোধী দলনেতা চতুর্থ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের সম্মতি নগরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রহিম শেখ জনসমক্ষে বোমা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সঙ্গীদের কারও হাতে রড়, কারও হাতে তলোয়ার। যার নেতৃত্বে তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য।