চোপড়ার তৃণমূল নেতা জেসিবির অত্যাচারে সন্ত্রস্ত সমস্ত গ্রামের মানুষ
নিউজ ডেস্ক ::অনেকটা সন্দেশখালীর শেখ শাজাহানের মতো চোপড়ার তৃণমূল নেতা জেসিবির (তাজমুল) দাপটে এলাকার পুলিশ প্রশাসনও ভীত। ঘটনাচক্রে জানা যায়, এলাকায় একজন পুরুষ ও একজন মহিলার মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ নিয়ে জেসিবি পঞ্চায়েতে সালিসি সভা ডাকে। সেখানে সেই দুজনকে গেছে বাঁধা হয়। পুরুষটি খালি গায়ে আর মহিলাটি একটি নাইটি পরা। গোপনে একজন এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে তা ভাইরাল করে দেয়। আর তার পরেই সব জানাজানি হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেসিবি- যাঁর আসল নাম তাজমুল। চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা বসছেন, গোটা গ্রামে তাজমুলই ‘প্রশাসক’। তিনি বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ। লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই সুবাদেই এলাকায় চলত জেসিবি-র দাপট। তাঁর ভয়ে পুলিশ প্রশাসন, সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে ভয় পেতেন সবাই। গত শনিবার সালিসি সভায় যেভাবে তালিবানি কায়দায় অত্যাচার চলেছে, সেই ঘটনার দৃশ্য লুকিয়ে মোবাইলে বন্দি করেছিলেন এক ব্যক্তি। এর আগেও অনেক খুনের অভিযোগ রয়েছে জেসিবি-র বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে চোপড়ার সিপিএম নেতা মনসুর আলিকে গুলি করে খুন করা হয়। সেই অভিযোগের তীর তার দিকেই। এই ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক হামিদুল রহমানের ব্যাখ্যা – ওরা সমাজকে খারাপ করছিল। তাই ওদের একটু শাস্তি দেওয়া দরকার ছিল। তবে তাজমুল একটু বেশি করে ফেলেছে। ২০২৪ সালে বাংলার কোনো বিধায়ক যখন এই কথা বলেন, তখন বোঝা যায় বাংলার সংস্কৃতি কোন তলানিতে নামছে।