হাথরসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১০৭
নিউজ ডেস্ক ::কবি বলেছিলেন, ‘এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক জ্বালো।’ কথাটা সত্যিই ধর্মের নামে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে আমাদের দেশে। উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাথরস জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকার রতি ভানপুর গ্রামে বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে এক ধর্মপ্রচারক তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই তাঁবু থেকে বের হওয়ার সময় শুরু হয় ঠেলাঠেলি। এডিজি আগ্রার জোন অফিসের পিআরও ১০৭জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। ধর্মের মোহ যখন মানুষকে অন্ধ করে দেয়, তখন মানুষ জ্ঞানশূন্য হয়ে পরে। আর ঘটে দুর্ঘটনা।
গোটা ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও এনিয়ে শোকবার্তা জানিয়েছেন। শোক বার্তা দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সৎসঙ্গে উপস্থিত লোকজন প্রচন্ড গরমের মধ্যে সমস্যায় পড়ে যান। এরপরই লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে পদপিষ্টের ঘটনা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের সময় প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতা ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘এটা ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা। আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরস জেলার সীমান্তে ওই জায়গায় জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ ওই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত একজন জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ওই ধর্মীয় প্রচারকের অনুগামীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেরিয়ে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না। সবাই একসঙ্গে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ই পদপিষ্টের ঘটনা হয়।