সরকারি জমি দখল!
নিউজ ডেস্ক ::জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে কড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাউকে যে রেয়াত নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এরপরেই এই ইস্যুতে একেবারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি সরকারের। ময়দানে নেমে পড়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিবেক কুমার। এরপরেই বিএলআরও সহ রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরেরআধিকারিককে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে বসছেন তিনি। শুক্রবার এই বৈঠক হবে।
যেখানে প্রায় ৫০০ জন আধিকারিক যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)
নির্দেশের পরেই এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জানা যাচ্ছে, সরকারি জমি দখল যে কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না তা বৈঠকে আধিকারিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এমনকি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোনও ব্যক্তিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হলে এবং বিষয়টি প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আধিকারিকদের স্পষ্ট বার্তা নবান্নের (Mamata Banerjee) তরফে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাওয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলায় নিযুক্ত বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চালিয়ে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
কিন্তু অভিযোগের তালিকা লম্বা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, সরকারি জমি বেদখল নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে গত কয়েকদিন আগে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একটা বড় শ্রেণির যোগসাজশে তা হচ্ছে। এমনকি এর পিছনে যে বড় লেনদেন চলছে তাও কার্যত প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রঙ না দেখে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপরেই দেখা যায় শিলিগুড়ির এই তৃণমূল নেতাকে জমি দখলের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
এই অবস্থায় এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আধিকারিকদের বিগত দিনের কাজের ভিত্তিতে রাজ্যের ৩৫০ বিএলআরও রিপোর্ট কার্ডও তৈরি হচ্ছে। আগামী কাল শুক্রবার আলিপুরে সার্ভে বিল্ডিংয়ে দুপুর ১১টা থেকে চালু হবে এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক।
বাংলা এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সমস্ত জেলার বিএলআরও, এসডিএলআরও, ডেপুটি ডিএলএলআরও এবং ডিএলএলআরওরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে তারা যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এখন দেখার বৈঠকে মুখ্য সচিব আধিকারিকদের কী নির্দেশ দেন।