আড়িয়াদহ তালতলা ক্লাবের ঘটনায় ক্ষুব্ধ কুণাল ঘোষ
নিউজ ডেস্ক ::আড়িয়াদহ তালতলা ক্লাবের ভিডিও ভাইরাল। ক্লাবের মধ্যে মারা হচ্ছে একজনকে। হাত পা ধরে একজনকে উপুড় করে ধরে রাখা হয়েছে। দুই পাশে দুজন লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারছে তাকে। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
” দাদাগিরির একটা লিমিট আছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই সব চায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সব চান না।” এই কথাই বললেন কুণাল ঘোষ। ওই ঘটনা সম্পর্কে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি।
তালতলা ক্লাবের ভিডিও ভাইরাল। মহিলাকে ওভাবে মারা হচ্ছে? না কী আক্রান্ত পুরুষ? তাই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ঘটনাটি কবে হয়েছে? তৃণমূলের দাবি, ঘটনাটি বেশ কয়েক বছরের পুরনো৷ যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করিনি আমরা।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সাধারণভাবেই নাম আড়িয়াদহের প্রসঙ্গ ওঠে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। কুণাল বলেন, ওই ঘটনা অত্যন্ত আপত্তিকর। যে ধরনের দাদাগিরি, যে ধরনের মারধর হয়েছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। যত পুরনো ঘটনাই হোক, এদের কোনও ক্ষমা নেই৷ পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মেজাজ চড়িয়ে কুণাল বলেন, ” পালটা মেরে এদের হাত ভেঙে দিয়ে এদের বীরত্ব ছুটিয়ে দেওয়া উচিত। মহিলা হলে তো আরও অপরাধ, পুরুষ হলেও যদি মেরে থাকে, মেরে হাত ভেঙে দেওয়া উচিত। কোনও নেতার উচিত নয়, এই সব গুন্ডাকে প্রশ্রয় দেওয়া৷”
” এই ধরনের ঘটনা ঘটায় চার – পাঁচ জন। এদিকে বিরাম্বনায় পড়তে হয় গোটা দলকে। এদের দু- একটার মেরে পিঠের চামড়া তুলে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া উচিত৷ কোনওভাবে যেন কেউ এই দাদাগিরির সাহস না পায়।” রীতিমতো গলা চড়িয়ে এই কথা বলেন কুণাল ঘোষ।