‘টাকা দাও, চাকরি নাও’ – গত ১০/১১ বছর ধরে এটাই ছিল পুরোসভাগুলোর প্রধান শ্লোগান

0 0
Read Time:2 Minute, 26 Second

নিউজ ডেস্ক ::চূড়ান্ত দুর্নীতি বললে খুবই কম বলা হয়। রাজ্যে তৃণমূল শাসন কালে সত্যিই নীতি মেনে কোনো সরকারি পদে নিয়োগ হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দীগ্ধ নাগরিক মহল। পুরোসভা নিয়োগ নিয়ে এবার সি বি আইয়ের চার্টশিট সামনে আসলো। অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর একে একে সব পর্দা সরতে শুরু করে। সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত কয়েকমাসে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার পুরপ্রধান বা কাউন্সিলরদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার প্রকাশ্যে এল সেই মামলার চার্জশিট। ৩২ পাতার চার্জশিটে উল্লেখ করল, কোন পুরসভায় কত বেআইনি নিয়োগের তথ্য এসেছে তাদের হাতে। সিবিআই-এর অভিযোগ, নিয়ম খাতায় কলমে মানা হলেও, বাস্তবে কেউ ধারও ধারেনি। ১৮৫০ জনের নিয়োগ হয়েছে বিভিন্ন পদে। রয়েছে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের কর্মী নিয়োগও। বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৩ টি পুরসভার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

সিবিআই-এর দেওয়া তথ্য বলছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় সবথেকে বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। আর সেই নিয়োগে নাম জড়িয়েছে ওই পুরসভা তৎকালীন পাঁচু গোপাল রায়ের। এ ছাড়াও অন্যান্য পুরোসভাগুলো হলো – টাকি পুরসভা- ১৫ বাদুড়িয়া পুরসভা- ৩৯ কামারহাটি পুরসভা- ৪৯ দমদম পুরসভা- ৬১ দক্ষিণ দমদম- ৩২৯ হালিশহর পুরসভা- ৩৯ কাঁচড়াপাড়া পুরসভা- ৩০৩ নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা- ৭৪ টীটাগড় পুরসভা- ২২১ রানাঘাট পুরসভা- ১০১ নবদ্বীপ পুরসভা- ১ বীরনগর পুরসভা- ২৬ কৃষ্ণনগর পুরসভা- ২০০ ডায়মন্ড হারবার পুরসভা- ১৮ উত্তর দমদম পুরসভা- ৬৪ বরানগর পুরসভা- ২৭৬ উলুবেড়িয়া পুরসভা- ১৮। এবার দেখার সি বি আইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!