সাতদিন ধরে বাংলার জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা
নিউজ ডেস্ক ::আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এবং সংলগ্ন বাংলাদেশের ওপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা আগামী দুইদিনে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাবে।
এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখা পশ্চিমবঙ্গে আসানসোল হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে নিম্নচাপ এলাকার মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। যে কারণে আবহাওয়া দফতরের তরফে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২৬ জুলাই থেকে পয়লা অগাস্টের মধ্যে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে দেওয়া উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার (Weather Update) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সাতদিন সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারের বাকি সময়ে একমাত্র কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলায় বজ্রবিদ্যুতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
শনিবার জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে। আপাত সোমবার ও মঙ্গলবারের জন্য আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। কিংবা বজ্রবিদ্যুতেরও কোনও পূর্বাভাস নেই।
শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার (Weather Update) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সাতদিন সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার বাকি সময়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। এই জেলাগুলিতে একইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুতেরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
তবে শনিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে আপাতত ভারী বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ কোনও কিছুরই পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার বিকেলে আবহাওয়া দফতর ( Weather Update) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় সাধারণভাবে মেঘলা আকাশ। দুই এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতরের তরফে মৎস্যজীবীদের প্রতি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এই কারণে গভীর সমুদ্র কিংবা উত্তর কিংবা পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে।