প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে কলকাতায় জনপ্লাবন
নিউজ ডেস্ক ::প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যথার্থ অর্থেই ছিলেন একজন জন নেতা। সাধারণ মানুষের কাছে তিন ছিলেন সঠিক অর্থেই ‘সততার প্রতীক।’ তাই তাঁকে শেষ দেখার জন্য ৯ তারিখ কোলকাতার রাস্তায় দেখা গেছে জন-প্লাবন। শুক্রবার মুজফ্ফার আহমেদ ভবন থেকে তাঁর শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই দেখা গেছে চশমা খুলে রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে। জে সি বোস রোড ধরে সেই জনপ্লাবেন গিয়ে পৌছায় নীলরতন মেডিকেল কলেজে। সেখানে তাঁর দেহ দান করা হয়। আগেই চক্ষুদান হয়ে গেছে। তাঁর চোখ দুটি ইতিমধ্যে দুজন দৃষ্টিহীনের চোখে স্থাপন করাও হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গান স্যালুট দিয়ে সম্মান জানাতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত দল ও মীরা দেবীর আপত্তিতে তা হয় নি। আলিমুদ্দিন থেকে বেরিয়ে এবার বুদ্ধবাবুর মরদেহ চলেছে দীনেশ মজুমদার ভবনে। ডিওয়াইএফআইয়ের অফিস। সেখানে মিনিট ১৫ রাখা হয় বুদ্ধবাবুর মরদেহ। এরপর এনআরএস। আলিমুদ্দিনের সামনে থেকে লম্বা লাইন এজেসি বোস রোড ছাড়িয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ রোদ মাথায় রাস্তার ধারে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁরা। আলিমুদ্দিনে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা। অগণিত বাম কর্মী উপস্থিত।
বাংলার রাজনীতিতে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একটা নিজস্ব ভাবমূর্তি তৈরী করেছিলেন, যার নাম -‘ব্র্যান্ড বুদ্ধ।’ ব্র্যান্ড বুদ্ধ আর কিছু নয়, ব্র্যান্ড বুদ্ধ হলো – মার্ক্সবাদের প্রতি অসীম বিশ্বাস, ব্যক্তিগত জীবনে বিলাসিতাকে বর্জন করা, মানুষের পাশে থাকা, মেরুদন্ড সোজা রাখা আর সৎ ভাবে জীবন-যাপন করা, যা এই যুগের রাজনৈতিকদের মধ্যে বিরল। আর সেই ব্র্যান্ড বুদ্ধের সাদা পোশাকে কলঙ্ক লাগানোর জন্য এক সময় কম চেষ্টা হয় নি। কিন্তু তিনি থেকে গেছেন নিষ্কলুস। তাই তাঁর প্রতি মানুষের এতো নিবিড় ভালোবাসা।