রাতে হাসপাতালে সৃজিত, সোহিনীরা

0 0
Read Time:3 Minute, 13 Second

নিউজ ডেস্ক ::বুধবার গোটা রাত জেগেছিল শহর কলকাতা। আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল রাজ্যের আনাচে কানাচে৷ রাতের দখল নিয়েছিল মেয়েরা। সচেতন নাগরিকরাও পথে নেমেছিলেন। সেই রাতেই আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগতদের তাণ্ডব চলে৷ ভাঙচুর চলে সরকারি হাসপাতালে৷

আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে শয়ে শয়ে লোক ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে বুধবার গভীর রাতে৷ পুজোর অনুদানের টাকা দিতে হবে না। হাসপাতাল সারানোর জন্য টাকা দেওয়া হোক৷ বৃহস্পতিবার রাতে এই বার্তা দেওয়া হল আরজি কর হাসপাতাল থেকে।

বৃহস্পতিবার রাতে আরজি কর গেলেন টলিউডের পরিচিত মুখেরা। শ্রীজিত মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, শোলাঙ্কি রায়, অলিভিয়া সরকার, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, লগ্নজিতারা উপস্থিত হয়েছিলেন হাসপাতাল চত্বরে৷ রাতেও জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। সেখানেই তারা সামিল হন।

আরজি কর হাসপাতালে ঠিক একদিন আগেই তাণ্ডব চালানো হয়েছে। জরুরি বিভাগ তছনছ৷ ইএনটি বিভাগ অবধি ভাঙচুর চালানো হয়। হাসপাতালে সেই সব অংশে এখনও কিছু জিনিসপত্র ছড়িয়েছিটিয়ে আছে৷ আন্দোলন থামবে না৷ চলবে। এই বার্তা জোরালোভাবে দেওয়া হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের থেকে।

বৃহস্পতিবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে গেলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকাররা৷ তরুণী জুনিয়র চিকিৎসকের এই ভয়াবহ মৃত্যু তাঁদেরও নাড়িয়ে দিয়েছে। বুধবার নয়, সেই কারণে পরের দিন তাঁরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

সেখানেই বক্তব্য উঠেছে, এবার আর ক্লাবগুলোকে পুজোর জন্য সরকারি অনুদান নয়৷ সেই টাকা দিয়ে হাসপাতাল সারানো হোক। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হোক৷ হামলার কারণে, বহু যন্ত্রপাতি, বেড, সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নষ্ট হয়েছে। প্রচুর ওষুধপত্র নষ্ট হয়েছে। অনুদান না দিয়ে টাকা চিকিৎসা খাতে ব্যয় করা হোক। হাসপাতালকে নতুনভাবে সাজানোর আবেদন জানানো হয়৷

বলে রাখা ভালো, এবারও মুখ্যমন্ত্রী ক্লাবগুলিকে পুজোর জন্য অনুদানের টাকা বাড়িয়েছেন। প্রতি ক্লাবকে ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!