রণক্ষেত্র বেহালা-হাজরা!
নিউজ ডেস্ক ::বাংলা বনধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা হাজরায়। আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই স্বাধীনতার রাতে অবাধ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে সেখানে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় সর্বত্র।
একের পর এক ঘটনার (Bangla Bandh on RG Kar Hospital Case) প্রতিবাদে আজ শুক্রবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই। আর তা ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল হাজরা মোড়। ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার হাজরা মোড়ে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয় এসইউসিআই’য়ের তরফে।
কিন্তু সেখানে নেতা-কর্মীরা পৌছতেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। আর তা ঘিরে একেবারে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে একেবারে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এসইউসিআই নেতা-কর্মীরা। কোনও জমায়েত যাতে না করা যায় সেজন্য মহিলা এসইউসিআই কর্মীদের একেবারে চুলের মুঠি ধরে পুলিশ গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একেবারে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। নেতাদের দাবি, শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ হঠাত করে তাদের উপর চড়াও হয় এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কার্যত একই ছবি ধরা পড়ে বেহালাতেও। বনধের সমর্থনে বেহালার ডায়মণ্ড হারবার রোড অবরোধ করেন এসওইসিআই কর্মীরা।
যার ফলে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। আর এরপরেই ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করে পুলিশ। যা ঘিরে একেবারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। একাধিক এসইউসিআই কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বেহালায়। নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা হাজরাতেও। আর তাই সেখানেও সাদা পোশাকে একাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অন্যদিকেএস.ইউ.সি.আই এর ‘বাংলা বনধে’র সমর্থণে ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায় স্টেট ব্যাঙ্কের শাখার সামনে ওই দলের নেতা কর্মীরা পৌঁছালে পুলিশ তাদের ধাক্কাকারি করে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
এস.ইউ.সি.আই নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোন জুলুমবাজি নয়, আর.জি করের ঘটনার প্রতিবাদে তাদের ডাকা ১২ বনধ সফল করতে ব্যাঙ্ক কর্মীদের কাছে পরিষেবা বন্ধ রাখার ‘আবেদন’ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আর এই ‘শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচীতে পুলিশ বাধা দেয় বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।