শুক্রবার মুক্তি পেলো ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ – কুনালের তীব্র আক্রমন টলি পাড়ার শিল্পীদের

0 0
Read Time:3 Minute, 52 Second

নিউজ ডেক্স: ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ – ছবির মূল উদ্দেশ্য বাংলাকে কালিমালিপ্ত কারা – অন্তত তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ তাই মনে করেন। এই ছবি যাতে বাংলায় মুক্তি না পায় তার জন্য আদালতেও যাওয়া হয়। কিন্তু আদালত স্পষ্ট বলেছে – শিল্পের স্বাধীনতার উপর তারা হাত দেবে না। ফলে মুক্তি পেলো ওই বিতর্কিত ছবি। আর তার পরেই তৃণমূলের প্রাক্তন সম্পাদক এক হাত নিলেন টলি পাড়ায় থাকা তৃণমূলের নেতা, MLA ও MP দের। টালিগঞ্জের কিছু শিল্পীকে পরোক্ষে সুবিধাবাদী বললেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, প্রয়োজনের সময়ে ওই শিল্পীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকেন, হাত নেড়ে ছবি তোলেন। কিন্তু শাসকদলের দুঃসময়ে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দৃষ্টান্তও টেনেছেন কুণাল। ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর পাল্টা কিছু টালিগঞ্জ থেকে কেন তৈরি করা হবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন শিল্পীরা ইতিমধ্যে নিজেদের মধ্যে বলছেন যে কোন জাতীয় ছবি তারা করবেন, তাও কি কুনাল ঘোষ বলে দেবেন! যদিও প্রকাশ্যে সেভাবে কেউ মুখ খুলছেন না।

শুক্রবার কুনাল ঘোষ বলেন, ‘‘মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এমন কিছু রাজনৈতিক ছবি তৈরি করেন, যা সমাজে বিজেপির পক্ষে ন্যারেটিভ গড়ে তোলে। এ বার তো বাংলা নিয়েও কুৎসার ঝুলি আসছে! অথচ টলিগঞ্জের বাবু-বিবিরা, যাঁরা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ভাবমূর্তি গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত।’’ তারা কেন মমতা দিকে নিয়ে কোনো ভালো ছবি তৈরী করবেন না? আক্রমনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তিনি আরো বলেন, “টালিগঞ্জের কলাকুশলীরা দিদির পাশে ছবি দিয়ে নিজেদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করেন, কিন্তু মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমা তৈরির কথা তাঁরা ভাবেন না। দলের সুসময়ে এঁরা হাত নেড়ে সামনে থাকেন। কিন্তু দল একটু বিতর্কিত ইস্যুতে পড়লেই এঁরা মুখবন্ধ করে দেন।” কুনাল কাদের আক্রমন করলেন? তা বুঝতে নাগরিক মহলের অসুবিধা হয় নি। কয়েক জন তো দলের টিকিটে ভোটেও জিতেছেন। ঘাটালের সাংসদ দেব টালিগঞ্জের প্রথম সারির তারকা। এ ছাড়াও, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, শতাব্দী রায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়েরা ভোটে জিতে কেউ সাংসদ কেউ বিধায়ক হয়েছেন। এরাই যে কুনাল ঘোষের টার্গেট তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!