গোস্বামীখণ্ড গ্রামের ব্যানার্জি বাড়ির দুর্গা পুজো
নিউজ ডেস্ক ::পুজোর ক’দিন একান্তে নিরিবিলিতে ঠাকুর দেখার উৎসাহ অনেকেরই আছে। চাইলেই শহর থেকে সামান্য দূরে গিয়ে শান্তিতে পুজো কাটানো যেতে পারে। জনস্রোত থেকে পালিয়ে দূরে কোথাও যাওয়ার কিছু সেরা ঠিকানা রয়েছে। তবে শহরে নয় পাড়ি দিতে হবে জেলাতে। শহর পেরিয়ে গ্রামের কোনায় কোনায় রয়েছে বেশ কিছু জমিদার বাড়ির পুজো যা পুজোর দিনগুলো একেবারে অন্য আমেজ দিতে পারে আপনাকে।
আউশগ্রামের এই বাড়িতে প্রথম দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন বংশের আদি পুরুষ গোপীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্মিত দুর্গামন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় পুরনো মন্দিরের পাশেই ১২৭১ বঙ্গাব্দে একটি নতুন দুর্গামন্দির নির্মাণ করেন গোপীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র সারদাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ও গোপালপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মন্দিরেই এখনও দুর্গাপুজো হয়।
রথের দিন সকালে হয় কাঠামো পুজো। ওই দিনই কাঠামোতে গঙ্গামাটি দেন কুল-পুরোহিত। ষষ্ঠীর দিন সকালে দুর্গা প্রতিমা বেদির উপরে তুলে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় পিছনের দেয়ালের থাকা তিনটি কড়ার সঙ্গে। স্থানীয়দের বিশ্বাস সন্ধিপুজোর সময়ে প্রতিমা দুলে ওঠে, তার জন্যই দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার চল। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত দু’টি বড় প্রদীপ জ্বালানো থাকে। একটি তেলের ও একটি ঘিয়ের। দশমীর দিন কুমারী পুজো হয়।