সুরুল জমিদারবাড়ির দুর্গা পুজো
নিউজ ডেস্ক ::পুজোর ক’দিন একান্তে নিরিবিলিতে ঠাকুর দেখার উৎসাহ অনেকেরই আছে। চাইলেই শহর থেকে সামান্য দূরে গিয়ে শান্তিতে পুজো কাটানো যেতে পারে। জনস্রোত থেকে পালিয়ে দূরে কোথাও যাওয়ার কিছু সেরা ঠিকানা রয়েছে। তবে শহরে নয় পাড়ি দিতে হবে জেলাতে। শহর পেরিয়ে গ্রামের কোনায় কোনায় রয়েছে বেশ কিছু জমিদার বাড়ির পুজো যা পুজোর দিনগুলো একেবারে অন্য আমেজ দিতে পারে আপনাকে।
বীরভূমের সুরুলের জমিদারবাড়ির দুর্গা মন্দিরের পুজো এ বছর ২৮৮ বছরে পড়ছে। পাঁচ খিলানের ঠাকুরদালান, বিরাট থামের নাটমন্দির, নানা রঙের কাচের ফানুস আর বেলজিয়ান কাচের ঝাড়বাতি মনে করিয়ে দেয় সাবেকি ঐতিহ্য আর রাজকীয় জৌলুসের কথা। সারা বছরই পর্যটক আসেন এই জমিদারবাড়ি দেখতে। তবে পুজোর সময়ে বাড়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা। জমিদারবাড়ির বাইরে বসে মেলা।
জমিদারবাড়ি সদস্য শিবুপ্রসাদ সরকারের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে বর্ধমান জেলার ছোট নীলপুর অঞ্চল থেকে বাড়ির প্রাণপুরুষরা প্রথম সুরুলে এসেছিলেন। তাঁদের পুত্র কৃষ্ণহরি সরকারের হাত ধরেই এই পরিবারের সমৃদ্ধির সূচনা।
জমিদারবাড়ির বিশেষ কিছু রীতি রয়েছে পুজোকে ঘিরে। যেমন দিঘিতে স্নান করিয়ে সাবেকি পালকি করে নবপত্রিকা আনা হয়। বলি নিয়েও রয়েছে বিশেষ রীতি। প্রথা অনুযায়ী, এখানে তিন দিন বলি হয়। অষ্টমীর দিন ছাগল, নবমীতে আখ ও সপ্তমীতে চাল কুমড়ো বলি হয়। দশমীর দিন শাঁখ বাজিয়ে শঙ্খচিলের আহ্বান করা হয়।