পানিহাটি স্টেট জেনারেল হসপিটালে ডাক্তারের চেয়ারে বসে ওষুধের দালালরা – সরকার চলছে
নিউজ ডেস্ক::চূড়ান্ত অব্যবস্থা বললেও কম বলা হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বহু বছর আগেই। কিন্তু সরকারি হসপিটালগুলো এক প্রকার যেন দালালদের হাতেই চলে গেছে বলে মনে হয় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হসপিটালের অবস্থা দেখে। হাসপাতালের সামনে প্রচুর ওষুধের দোকান। দিবারাত সে দোকান খোলাও থাকে। রোগীরা সেখান থেকে ওষুধ কেনেন। কিন্তু তাতেও হচ্ছে না। ওষুধ বেঁচতে এবারে হাসপাতালের ভিতর ডাক্তারের পাশেই আসনেই বিক্রেতা। আমাদের সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখে প্রথমে কিছুটা থতমত খেয়ে যায়। তারপর বলেন তিনি ডাক্তার দেখাতে এসেছেন। কিন্তু ডাক্তারের চেয়ারে কেন বসে? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়েই পালিয়ে যান তিনি।
রাজ্যের বহু হসপিটাল সম্পর্কে সক্রিয় দালালচক্র নিয়ে অভিযোগ আসছে। আমরাও সরজেমিনে তদন্তে নেমে অবাক হয়ে যাই। পানিহাটি হসপিটাল সম্পর্কে অভিযোগ আসছিল, বহিরাগত কিছু মানুষ সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ও আউটডোরে চিকিৎসকদের সঙ্গে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকেন। যে সমস্ত রোগীরা হাসপাতালে আসে চিকিৎসার জন্য। সেই সমস্ত রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের কয়েকজন ডাক্তারের সাহায্যে নিয়ে হাসপাতালের বাইরে নির্দিষ্ট ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ নেওয়ার কথা বলা হয় বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মুখ খোলেন নি। আবার ওই হসপিটালের চিকিৎসকেরাই ওই সব ওষুধের দোকানে ব্যক্তিগত চেম্বার করেন। ফলাও করে তাঁদের নাম লেখা। সবটা শুনে সুপার যেন আকাশ থেকে পড়েন। হাসপাতালে সুপার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও সরকারি হাসপাতালের দফতরে ঢুকে চিকিৎসকদের চেয়ারে বসতে পারেন না বহিরাগত কোনও ব্যাক্তি।” সবটা খতিয়ে দেখে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।