মহুয়া মৈত্রকে ফের তলব করলো এথিক্স কমিটি
নিউজ ডেস্কঃ কথা রাখল না সংসদের এথিক্স কমিটি। মহুয়া মৈত্রকে ফের তলব করা হল। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মহুয়া মৈত্র কমিটির কাছে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আর্জি মানা হল না। তার আগেই ডাক পড়ল তৃণমূল সংসদের। তাহলে কি মহুয়ার উপর শাস্তির খাঁড়া নামতে চলেছে? সেই প্রশ্ন উঠছে।
টাকা নিয়ে সংসদে এক সংস্থার হয়ে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে শুরু হয়েছিল জল্পনা। এই অভিযোগ রীতিমতো সমস্যায় ফেলে দিয়েছে মহুয়াকে। টাকা নিয়ে সাংসদ এই কাজ করতে পারেন কি? সংসদীয় গণতন্ত্রে এর শাস্তি কী? এইসব প্রসঙ্গ সামনে আসছিল।
এই অবস্থায় সংসদের এথিক্স কমিটির বৈঠক বসে। সিদ্ধান্ত হয় মহুয়া মৈত্রকে ডাকা হবে। তার বয়ান নেওয়া হবে। সেই মতো তৃণমূল সাংসদকে ৩১ অক্টোবর এথিক্স কমিটি তলব করেছিল। কিন্তু সেই দিন কৃষ্ণনগরের সাংসদ উপস্থিত হননি। মহুয়া জানিয়েছিলেন, তার কিছু কর্মসূচি আগে থেকে ঠিক করা রয়েছে। তাই ওই দিন উপস্থিত হতে পারবেন না।
চিঠি দিয়ে এথিক্স কমিটির কাছে সময় চেয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। জানানো হয়েছিল, পাঁচ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত। তারপরে এথিক্স কমিটি ডাকলে তিনি পৌঁছে যাবেন। কিন্তু সেই আবেদন যে মানা হল না। সেটি পরিষ্কার। এর আগেই মহুয়া মৈত্রের কাছে বার্তা এসেছে। এথিক্স কমিটি ফের ডেকেছে সাংসদকে।
আগামী ২ নভেম্বর তাকে এথিক্স কমিটির মুখোমুখি হতে হবে। প্রশ্নের সামনে পড়তে হবে ঘুষ কাণ্ডে? যথাযথ বক্তব্য রাখতে হবে সাংসদকে। এথিক্স কমিটি তার কথা শুনবে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মহুয়া মৈত্র সময় চেয়েছেন। কিন্তু সেই সময় দেওয়া হল না। অর্থাৎ কোথাও এথিক্স কমিটি চাপ বাড়াতে চাইছে।
প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে। তাহলে কি কোথাও মহুয়া মিত্র শাস্তি পেতে পারেন? এথিক্স কমিটি সব কিছু বিবেচনা করে কি কোনও চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? মহুয়া মৈত্রের নামে ওঠা অভিযোগ ঘিরে সংসদের রাজনীতি চর্চায়। বিজেপি তৃণমূলকে লাগাতার কটাক্ষ করে চলেছে। মহুয়া মৈত্র সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসও কোনও মন্তব্য করছে না।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকের বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছেন। এজেন্সি দিয়ে চাপ বাড়ানো, সেই সব বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। কিন্তু মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গ তার মুখে একটিবারও শোনা যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে কোনও কথা বলতেই রাজি নয়। তাহলে কি মহুয়া ফাঁপরে পড়ে গেলেন? একলা চলো নীতি নিয়ে এই লড়াই কি একাই লড়তে হবে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে?