তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজে মনোযোগ শিল্পীদের
ধ্রুবজ্যোতি মহন্ত, দক্ষিণ দিনাজপুর: সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতবর্ষের সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এদেশের শিল্প ও ভাস্কর্য।যুগে যুগে শিল্পীরা তাদের কল্পনা ও প্রতিভার সাথে দক্ষতার সমন্বয়ে শিল্প কলা সৃষ্টি করেছেন।যদিও কোন শিল্পীর সৃষ্টি কে শিল্প ভাস্কর্য হিসেবে গণ্য করা হবে কিনা তা নির্ভর করে স্থান-কাল, সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং কিছুটা মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের ওপরেও। যদিও যে শিল্প ভাস্কর্য তার নিজস্বতায় মানুষের সৌন্দর্যবোধ এবং আবেগ কে নাড়া দেয়,সেই শিল্প ভাস্কর্যের চাহিদা সংস্কৃতির সীমানা ছাড়িয়ে যুগে যুগে বহুদূর বিস্তৃত হয়েছে।
সেই অতীত কাল থেকেই শিল্পীরা তাদের রুজি রোজগারের টানে শিল্প ভাস্কর্যের সম্ভার বিক্রয়ের উদ্দেশে ছুটে গেছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। সময় পাল্টেছে পাল্টেছে শিল্পকর্মের ধারাবাহিক রীতিনীতি শিল্প ভাস্কর্যের ব্যাবসায়িক প্রেক্ষাপট। বর্তমানে ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের বাজারে শিল্প ভাস্কর্যের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্যিক সফলতার কারণেই প্রত্যেক বছরই ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের শিল্প ভাস্কর্যের সম্ভার নিয়ে শিল্পীরা এরাজ্যে ছুটে আসছেন।
এ বছরও মাঘের তীব্র শীতকে উপেক্ষা করেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরে নানান আকর্ষণীয় শিল্প ভাস্কর্যের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন সুদূর রাজস্থান থেকে আগত শিল্পীরা। দিনরাত এক করে গঙ্গারামপুর শহরের কালদিঘি এলাকার এক মাঠে রাজস্থান থেকে আগত শিল্পীরা প্লাস্টার অফ প্যারিসের ফুল, ফল ,দেবতা ,পশুপাখি ও নানান শিল্প ভাস্কর্য তৈরি করে চলেছেন,ছোট-বড় নানান মাপের নানান ডিজাইনের সেইসব শিল্পভাস্কর্য বিক্রি হচ্ছে গঙ্গারামপুর শহর থেকে শুরু করে শহরের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায়।জানাযায় ছাঁচে তৈরি প্লাস্টার অফ প্যারিসের এসব আকর্ষণীয় শিল্পভাস্কর্য বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে।
এই প্রসঙ্গে শিল্পভাস্কর্য সম্ভার নিয়ে আসা রাজস্থান থেকে শিল্পী জানান “খোলা মাঠে এখনকার তীব্র শীতে পরিবার নিয়ে এসে খানিকটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তৈরি করা শিল্পসম্ভার বিক্রির পড়েই অন্যত্র যেতে পারবো।”