একুশের বিধানসভায় সমস্ত ভুল শুধরে নেবো
নিউজ ডেস্ক: সাহাগঞ্জ এর সভা থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া। এবং তিনি জানিয়েছেন, খেলা তো হবেই। দিদির সঙ্গে থাকব তো আমি। দিদির সঙ্গে আছি। ২০১১ সাল থেকেই আমি দিদির সঙ্গে থেকেছি। আজীবন দিদির সঙ্গেই থাকব। বাংলার মাটি বাংলার মানুষ দিদিকে চায়। খেলা হবে, সবাই দিদির পাশেই থাকবেন, দিদির হাত শক্ত করতেই হবে।
এদিন সভাতে যোগদান প্রার্থী অভিনেত্রীর সায়নী ঘোষ জানিয়েছেন, এত কম বয়সে সুযোগ দেওয়ার জন্য দিদিকে ধন্যবাদ। আগামী দিনে বাংলার মা-বোনেদের সুরক্ষা দেখে রাখব। বাংলার সম্প্রীতি বজায় রাখবো। আপনাদের কে সঙ্গে নিয়ে আনন্দে, আমরা সুস্থ এবং সুন্দর পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করব।
ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি এদিন জানিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে শতরানের পর, আইপিএল ট্রফি জেতার পর যে আবেগ ভালোবাসা আমি পেয়েছি তাতে কোনো হিন্দু মুসলিম ছিল না। সারা দেশে রাজনীতি করেছে বিজেপি সরকার। তৃণমূলে আমরা একটি বৃন্তে দুটি কুসুম। সেই কারণেই মমতা ব্যানার্জি বাংলার অগ্নিকন্যা।
অভিনেত্রী মানালি দে জানিয়েছেন, আমি যেদিন মাকে হারিয়েছিলেন সেদিন এই মানুষটা আমার পাশে ছিল। অরূপদা এসেছিল। আমি সাথেও থাকি আবার পাঁচেও থাকি। এবার ফরম্যালি যোগ দিলাম।
এদিকে সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কি হবে খেলা হবে তো? একুশের ভোটে খেলা থাকতেই হবে। একদিকে তৃণমূল থাকবে অপর দিকে থাকে সিপিএম কংগ্রেস ও বিজেপির মত বিরোধীদল। আর আমি থাকবো তৃণমূলের গোলরক্ষক। একটা গোলও মারতে পারবে না। সবার পোষ্টের উপর দিয়েই বেরিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছে বাংলায় নাকি মা-বোনেরা সুরক্ষিত নয়। বিজেপি শাসিত রাজ্য সুরক্ষিত? বিহার, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব সুরক্ষিত? সব জায়গা অরক্ষিত, বিজেপিতে মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। যে কাজের প্ল্যানিং আগেই হয়েছিল সেটা নিজে করেছেন বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন বলতে চাই না। কারণ তিনি আজকে আছে কালকে থাকবেন না। আমি তার পদকে সম্মান করি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২২ থেকে ২৩ বছরের মেয়েকে বলছে কয়লা চোর। বাংলার মেয়েরা, ঘরের বউ কে বলেছে কয়লা চোর। কয়লা চুরি করে নিয়ে বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী। তোলাবাজ কাকে বলে, যারা পাঁচ টাকা, দশ টাকা তোলে তাদের গ্রামের মানুষ তোলাবাজ বলে। আর যারা দেশকে বিক্রি করে দেয়, কারখানা বিক্রি করে দেয় তারা কি কাঠ মানি খান নাকি রেট মানি বলে। তাহলে আপনি দাঙ্গাবাজ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, দুই লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে জল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। দেড় কোটি বাংলা ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান আমরা দেবো। আমাকে অ্যারেস্ট করো, আমাকে নিয়ে গোটা তৃণমূলের সবাইকে অ্যারেস্ট করো। আমাকে এখানে পুতে দিলে আমি দিল্লিতে গিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াব। সুস্থ বাঘের চেয়েও আহত বাঘ অনেক ভয়ঙ্কর। ডানলপ অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্র সেটা করতে দেয়নি। ডানলপ কর্তার রুইয়ার সঙ্গে বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ রয়েছে। তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ হয়েছে। সিঙ্গুরে ১২ একর জমির উপর agro-industry তৈরি হচ্ছে। ডানকুনি থেকে শুরু হয়েছে রেললাইন ধরে শিল্প হবে। হুগলিতে অনেক শিল্প হচ্ছে। সিঙ্গুরের চাষিরা আজ ভাতা পান। বন্যা নিয়ন্ত্রণের হুগলি জেলায় প্রচুর কাজ হচ্ছে। আরামবাগ মাস্টার প্ল্যান তৈরি হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে একুশের বিজেপির ভাগ্য-নির্ধারক হবে। কিন্তু ওদের নাম মুখে আনতে আমার লজ্জা লাগে। একটামাত্র আসন জিতে ভাবছে এবার পুরো হুগলিটাই দখল করে নেবে। বিজেপি আনন্দে ধেই ধেই করে নাচছে। মা বোনেদের বলছি যা হয়েছে সব ভুলে গিয়ে হুগলির সব আসন আমাদের দিন। আগের বার হয়তো ভুল করেছিলাম তাই আমরা ভোট পায়নি। নিশ্চয়ই আমাদের কোথাও ভুল হয়েছিল। সেই সব ভুল এবার শুধরে নেব। একটা হোদল কুতকুত, আর একটা কিম্ভূত কিমাকার। শাহ ও মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।