শুভ্রা, বিপ্লব, নিরুপম, সুপ্রিয়রা, তৈরি করল জনসেবামূলক কন্ট্রোলরুম
নিউজ ডেস্ক: ছাত্র-ছাত্রীদের হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করলেই তারা পৌছে যাবে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি।। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়, হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন অথবা এসএমএস করলেই পৌঁছে যাবে বিশেষ টিম ।। নিচে দেওয়া হেল্পলাইন নাম্বার ফোন- ৮৯১৮৩৯০৯০২, ৯১৫৩০৩৭২৭৮।
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট টাউন হাই স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে তৈরি হল করোনার জন্য বিশেষ টিম। কন্ট্রোল রুম বিপদের সাথী। করোনা আক্রান্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে একদিকে তাদের হেল্পলাইন নম্বর অন্যদিকে ঔষধ,অক্সিমিটার, অক্সিজেন,পুষ্টিকর খাবার সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর এই টিমের যোদ্ধারা।
ইতিমধ্যেই এই উদ্যোগ বসিরহাট পৌরসভার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের হেল্পলাইন নাম্বার। সেই সঙ্গে প্রাক্তনি ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের অর্থ ও নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে পরিবারের পাশে দাড়াতে শহরের কোনায় কোনায় পৌঁছে যাবে এই বিশেষ টিম।
এই টিমের বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছে শহরের যেসব জায়গায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা, অসহায় দম্পতিরা যাদের কেউ নেই অথবা সন্তানরা কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন তাদের জন্য এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও।
পাশাপাশি যেসব করোনা আক্রান্ত রোগীরা বাড়িতেই থাকবে সেফহোমে তাদের জন্য সম্পূর্ণ মেডিকেলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অক্সিজেন, অক্সিমিটার, খাবার থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার বন্দোবস্ত করছে। তার পাশাপাশি যেসব মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পর্যন্ত তার আত্মীয়-স্বজন না জানতে পারছে না সেদিকটাও বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে।
বসিরহাট টাউন হাই স্কুলের শিক্ষক দেবদাস সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা জনসেবামূলক কাজ করছি কখনো রক্তদান শিবির, কখনো আবার বৃক্ষরোপণ তাই আজ এই মহামারীর কালে আমরা বিশেষ টিম তৈরি করলাম। যাতে মানুষ যেন হতাশায় না ভোগেন পাশাপাশি তাদের সমস্ত রকম স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে বাড়ির দোরগোড়ায়। এমনকি মনের জোর দেওয়ার জন্য সবরকম মানসিক আনন্দ সান্তনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সর্বক্ষণ। এই করোনার বিশেষ টিম বিপদের সাথী, দিবারাত্র কাজ করবে বসিরহাট শহর জুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে।
এই টিম এবং প্রাক্তন ছাত্রী শুভ্রা ঘোষ বসু তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়ি বসে থাকতে পারলাম না করোনা আমাদের সম্পূর্ণ গ্রাস করে ফেলেছে, আমাদের আর কোন উপায় নেই, ভয় পেলে চলবে না তাই আমরা সবকিছু উপেক্ষা করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে।