বর্তমানে ওভারিয়ান সিস্টে ভুগছেন বিশ্বের অর্ধেক মেয়েরা
নিউজ ডেস্ক: বর্তমান প্রজন্মে মেয়েদের শরীরে নানান ধরনের রোগ দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে অতি পরিচিত হল ওভারিয়ান সিস্ট। এর আগে খুব একটা দেখা যেতনা এই রোগ, কিন্তু গ্লোবালাইজেশনের যুগে মহিলাদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। ওভারিয়ান সিস্ট হল ওভারিতে থাকা ফ্লুইড যুক্ত থলে। এগুলোকে ফাংশনাল সিস্ট বলা হয়ে। এই ধরনের সিস্ট তৈরি হতে সময় লাগে ৩-১০ মাস। অনেক সময় সিস্ট থেকে ক্যান্সারের মতো বড়ো রোগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু সব সিস্ট ক্যান্সারের কারণ নয়।
ওভারিয়ান সিস্টের প্রধান কারণ গুলি হল….
আনহেলদি লাইফ-স্টাইল, এক্সারসাইজ একেবারেই না করা, বিভিন্ন ধরনের অ্যকডিশন, অতিরিক্ত টিভি দেখা ইত্যাদি। এছাড়াও আরো কিছু কারণ আছে, সেগুলি হল….
অনিয়মিত ঋতুচক্র শুরু হলে, বন্ধ্যাত্ব রোগের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের ফলে, ১১ বছর বা তার আগে ঋতুচক্র শুরু হলে, হরমনাল ইম্বল্যানস, শরীরের উপরের অংশে মেদ জমলে।
ওভারিয়ান সিস্ট মূলত পাঁচ প্রকারের।…
১) ফাংশনাল সিস্ট : বেশির ভাগ মহিলাদের এই সিস্ট দেখতে পাওয়া যায়। ওভারি থেকে ডিম না ফুটলে সৃষ্টি হয়ে এই সিস্টের। এতে সাধারনত খুব একটা সমস্যা হয়েনা।
২) পলিসিস্টিক সিস্ট : ওভারিতে যে ছোট ফলিকল থাকে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ না হলে এই ধরনের সিস্ট হয়ে থাকে। এই সিস্টের ফলে অল্প বয়সে মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হয়ে। এমনকি বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।
৩) এন্ডমেট্রিয়াল সিস্ট : ওভারিতে যে টিস্যু গুলি থাকে সেই টিস্যু যদি জরায়ু ছাড়া পেটের অন্য কোথাও হয়ে তখন তাকে এন্ডমেট্রিয়াল সিস্ট বলে। এর ফলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে এবং অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
৪) ডারময়েড সিস্ট : এই সিস্টের ভেতর চামড়া, চুল, দাঁত আটকে থাকতে পারে। এই ধরনের সিস্টও প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরনের সিস্ট থেকে বিনাইন ক্যান্সার হতে পারে। এই সিস্টের ফলে তীব্র ব্য়থা অনুভব হয়ে। অনেক সময় ওভারি পেচিয়েও যায়।
৫) এডিনোমা সিস্ট : ডিম্বাশয়ে থেকে এক ধরনের তরল জাতীয় পদার্থ বেড়িয়ে জমাট বেধে এই ধরনের সিস্টের জন্ম হয়ে।
কিছু কিছু উপায় প্রতিদিন অনুসরন করলে এরানো যেতে পারে ওভারিয়ান সিস্ট…..
পরিমিত ও সুষম আহার, ব্যায়াম ও বিশ্রাম, অতিরিক্ত চাপ না নেওয়া, হরমোনাল ব্যালেন্স বজায় রাখা।