রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আসছে, নাড্ডার বাড়িতে বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্ব
নিউজ ডেস্ক সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাসহ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, রাজ্যসভা নির্বাচন এবং দুই মাস পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি জোট ও বিরোধীদের তরফেই প্রার্থী দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ই জুন থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এদিনের বৈঠকে ৫৭ টি রাজ্যসভা আসনের ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে সোমবার সন্ধেবেলা এই বৈঠক হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, রাজ্যসভা নির্বাচনের তুলনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিজেপির কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জুলাই মাসের ২৫ তারিখ বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।
বিরোধীদের তরফে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দেওয়া পরিকল্পনা চলছে। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এই বিষয়ে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার কাজ করছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মোট বৈধ ভোটের ৪৮.৯ শতাংশ বিজেপির কাছে রয়েছে। অন্যদিকে ভোট শতাংশের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। তাদের কাছে সাংসদ, বিধায়ক মিলে মোট ৫১.১ শতাংশ ভোট রয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীকে জেতাতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক অথবা অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএসআর জগন্মোহন রেড্ডির সমর্থন প্রয়োজন। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি জোট গড়তে উদ্যোগী হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনই কেসিআরের কাছে ‘অ্যাসিড টেস্ট’।
চলতি সপ্তাহেই কেসিআর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করেছেন। উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও দেখা করেছেন। অন্যদিকে এমকে স্ট্যালিন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেসিআরের ফোনে কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই মমতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন কেসিআর। পাশাপাশি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন কেসিআর। মাঝে রাষ্ট্রপতি পদে নীতীশের প্রার্থী হওয়া নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, কিন্তু সেই দাবি খারিজ করেছেন খোদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে বিজেপিও নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে।