নিয়োগ দুর্নীতির দায় পার্থর একার নয়, বললেন বিকাশ
নিউজ ডেস্ক::পিসির কথায় কিছু হয়নি, সেই পরিস্থিতিতে ভাইপোর কথায় বিশ্বাস নয়।
ধর্মতলায় ধর্নারত এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশে এমনটাই আবেদন জানালেন সিপিআইএম (cpim) রাজ্য সম্পাদ মহঃ সেলিম (md salim)। তিনি বলেছেন নিয়োগের নির্দেশ দিক সরকার, শুধু কথায় চিড়ে ভিজবে না। তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ তিনি করেছেন। বিরুদ্ধে অন্যদিকে সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের (Bikash Bhattachatya) দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে কিছু হবে না, পদত্যাগ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, এটা চায়ের কাপ থেকে মাছি ফেলার মতো। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো আর মাছি নন। তিনি বলেন, এটা তো স্যাম্পেল। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো একা কিছু করেননি, তৃণমূল দল করেছে সরকার করেছে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে এমন কী বলেছিলেন যে এত টাকা মজুত করা হয়েছিল।
মহঃ সেলিম প্রশ্ন করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আজকে বাদ দিলে কি শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে, পঞ্চায়েত দফতরের দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে? তিনি এব্যাপারে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশ না নিয়েও গাছ ছাগলে খাওয়ারঅভিযোগও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, দেরি না করে মুখ্যমন্ত্রী বলুন, যে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা আর বরদাস্ত করা হবে না।
মহঃ সেলিম এদিন অভিযোগ করেছেন আনিস খানের মৃত্যু তদন্ত এবং চিটফান্ডের তদন্তে রাজ্যের সিট তথ্য যোগারের পদলে তা পাচার করে দিয়েছে। আর যদি মোরাল গ্রাউন্ডের কথা ধরা হয়, তাহলে প্রথম দিনেই কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তিনি অভিযোগ করেছেন, বারুইপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাগানবাড়ি থেকে তথ্য লোপাট করেছে তৃণমূল এবং পুলিশ।
এদিন রাজ্যসভায় সিপিআইএম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হাইকোর্টে মামলার ভবিষ্যৎ স্পষ্ট। ২০১১ সালের পর থেকে যেসব বেআইনি নিয়োগ হয়েছে তা বন্ধ হবে। তিনি বলেন নিয়োগ দুর্নীতির দায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একার নয়। আর এইভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে ভারমূর্তি উদ্ধার করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিকাশ ভট্টাচার্যের দাবি মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কোনও যোগ্যপ্রার্থী চাকরি পারেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।