তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে এক ফ্রেমে মিঠুন
নিউজ ডেস্ক::বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে টিএমসি সাংসদের ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যাকে বলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই নিয়ে। কারণ কয়েকদিন আগেই মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন ২৮ জন টিএমসি বিধায়ক সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বাংলার মহারাষ্ট্রের মত ঘটনা ঘটতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই বিজেপি নেতার এই ছবি পোস্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই শহরে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা এবং অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। অভিনেতা এবং টিএমসি সাংসদ দেবের সঙ্গে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দেবের সঙ্গে ছবির শ্যুটিং করছিলেন মিঠুন। সেকারণেই শহরে আসা। ছবির শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর দেবের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন তিনি। টিএমসি সাংসদের সঙ্গে মিঠুনের ছবি দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কয়েকদিন আগেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন বিজেপির সঙ্গে ৪৮ জন টিএমসি বিধায়ক যোগাযোগ রাখছে। তারপরেই তিনি দাবি করেছিলেন যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেছেখেন প্রায় ২৮ জন বিজেপি নেতা। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। একদিকে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির প্রমাণ প্রকাশ্যে আসছে তখন মিঠুনের এই দাবি ঘিরে অনেকেই নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছিলেন।
মিঠুন চক্রবর্তী সাংবাদি বৈঠক করে দাবি করেছিলেন, মহারাষ্ট্রের পরিণতি হতে পারে বাংলার। কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রে শিবসেনা আগাড়ি সরকারের পতন ঘটিয়েছে বিজেপি। শিবসেনার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছে তারা। সেই পরিস্থিতি বঙ্গেও তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি েনতা মিঠুন চক্রবর্তী। তারপরেই টিএমসি সাংসদের সঙ্গে তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
মিঠুন চক্রবর্তী গতকাল দাবি করেছেন পার্থ-অর্পিতার বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেগুলি তাঁদের নয়। টাকার আসল মালিক অন্য কেউ তাঁরা কেবল মাত্র পাহারাদার। অর্পিতা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাই আসল নামটি প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন শুধু শুধু এত কষ্ট না পেয়ে আসল নামটা বলে দিন। টাকার আসল মালিক কে তা নিয়ে ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। গতকাল রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সব পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।