‘বন্ধু’ কর্পোরেটদের থেকে সাধারণের থেকে বেশি শুল্ক আদায় করছে কেন্দ্র
নিউজ ডেস্ক::কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা চাপিয়েই চলেছে।
কিন্তু নিজের বন্ধুদের কর ছাড় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। এদিন টুইটারে নিজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি গ্রাফ শেয়ার করেন। সেই গ্রাফের সাহায্যে তিনি দেখাতে চেষ্টা করেন, কেন্দ্র শিল্পপতিদের থেকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করছে। বিজেপি পাল্টা অভিযোগ করেছে, রাহুল গান্ধী দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে ভুয়ো তথ্য প্রকাশ করেছে।
টুইটারে রাহুল গান্ধী যে গ্রাফটি শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখানো হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে শিল্পপতিদের থেকে জনগণের কাছ থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করেছে এনডিএ সরকার। গ্রাফটিতে দেখা যাচ্ছে ২০১০ সালে যেখানে জনগণের থেকে ২৪ শতাংশ রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে কর্পোরেটদের কাছ থেকে ৪০ শতাংশ কর সংগ্রহ করা হয়েছে। গ্রাফটিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ২০২১ সালে কর্পোরেটদের থেকে সংগ্রহ রাজস্বের পরিমাণ ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। সেখানে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ৪৮ শতাংশ রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের আইটি সেলের প্রধান আমিত মালব্য জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রাহুল গান্ধী স্কুল অফ ইকোনমিক্সে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। ভুয়ো তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, কর্পোরেটদের দেওয়া শুল্ক ও সাধারণ মানুষের ওপর চাপানো শুল্ক নিয়ে ১০০ শতাংশ হয় না। এর মধ্যে একটি জটিল হিসেব রয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণভাবে পরোক্ষ করের ওপর দেশের অর্থনীতি অনেকটা নির্ভর করে। এই পরোক্ষ করের মধ্যে যেমন রয়েছে জিএসটি, ট্রাস্ট, কর্পোরেশন কর। তিনি দাবি করেছন, আগের থেকে দেশের অর্থনীতি অনেকটা শক্তিশালী হয়েছে।
সম্প্রতি একাধিক জরুরি পণ্যে জিএসটি বাড়ানোর ফলে বিরোধীদের কোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। খাদ্যপণ্যের ওপর কেন্দ্র জিএসটি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবায় একাধিক পণ্যের ওপর জিএসটি বাড়ানো হয়েছে। জিএসটি বৃদ্ধির জেরে মধ্যবিত্তদের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন। আগে দুগ্ধজাত পণ্য জিএসটির আওতার বাইরে ছিল। এছাড়াও একাধিক খাদ্যপণ্য জিএসটির আওতার বাইরে ছিল। তাদের নতুন করে জিএসটির অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি জীবনদায়ী যন্ত্র ছাড়া যে সমস্ত আইসিইউ বেডের ভাড়া দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি, সেখানে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে বলে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে খাদ্যপণ্যে জিএসটি কমানোর আবেদন করেছে।