কৃষি প্রযুক্তি – দার্জিলিংয়ে কমলালেবু
নিউজ ডেস্ক::শীতকাল আর কমলালেবু যেন সমার্থক হয়ে পড়েছে।আবার কমলালেবু আর দার্জিলিংও যেন সমার্থক হয়ে গেছে।কিন্তু গত বেশ কয়েক বছর ধরে দার্জিলিংয়ের কমলা পরিমাণগত ও গুনগতভাবে নিজেদের ঐতিহ্য হারাচ্ছে।
এই সমস্যার সমাধানে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিদ্যালয় উদ্যোগ নেয়।কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার আসছে সাফল্য।
কিন্তু কেমনভাবে এটা সম্ভব হল? উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কী এমন জাদু করল? এখন এমন প্রশ্ন-ই সকলের মনে। এপ্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জানান, কমলালেবুর আকার ছোটো হয়ে যাওয়া, ফলন কমে যাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে বোঝা যায়, গাছগুলির অধিকাংশই পুরোনো হয়ে গিয়েছে। মাটির সংস্কারও দীর্ঘদিন হয়নি। গাছে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। এছাড়া পুরোনো পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে। তার ফলে কমলালেবুর উৎপাদন কমে গিয়েছে এবং ফলনও কমেছে। তাই কৃষিবিদরা প্রথমেই সেই সমস্যার সমাধানে নতুন প্রযুক্তির সন্ধানের চেষ্টা করেন।আর এতেই আসে সাফল্য।
মাটি সংস্কার, চাষের অত্যাধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে চাষিদের সচেতন করার পাশাপাশি টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নতমানের কমলালেবু চারাও দেওয়া হয় চাষিদের। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের একটি দল কমলালেবুর চারা নিয়ে গত দু-বছর ধরে গবেষণা করেছেন। তাঁরা কমলালেবুর ফলন কম হওয়া এবং আকার ছোট হওয়ার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করেন এবং সেই সমস্যা প্রতিকারের পথ খুঁজে বের করেন। টিস্যু কালচার চাষেরও প্রয়োগ করেন।
আশাকরা যায় এ বছর থেকেই গুন মানে দার্জিলিংয়ের কমলা আবার মানুষ উপভোগ করতে পারবে।