অনুব্রত লটারি পায়নি – অভিমত সিবিআইএর
নিউজ ডেস্ক::অনুব্রত মন্ডলের লটারির টিকিট থেকে ১কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে অনুব্রত সিবিআই এর আতস কাচের নিচে।অনুব্রত মণ্ডল 89H54045 নম্বরের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১-এর ৭ ডিসেম্বর। ৬ টাকার টিকিটে অনুব্রত মণ্ডল ১ কোটির পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপানও দেওয়া হয়। মাস কয়েক আগে অনুব্রত মণ্ডলের লটারি দয়ের বিষয়টি সামনে আসলেও, সম্পর্তি তা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল টিকিটটি ঠিক কার কাছ থেকে কিনেছিলেন কিংবা চোরা-চালান থেকে আয় গোপন করতেই লটারিকে সামনে রাখা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সিবিআই যতই এগোচ্ছে ততই সন্দেহ দানা বাঁধছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ছাড়াও লটারি সংস্থার ডিলার, সাব-ডিলার ছাড়া খুচরো বিক্রেতা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। ডিলার শেখ আইনুল, সাব ডিলার রাজীব ধীবরকে কাগজপত্র নিয়ে বোলপুরের সিবিআই অফিসে দেখা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সপ্তাহের শুরুর দিকে লটারি ব্যবসায়ী বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে কলকাতার সিবিআই অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ওই লটারির খুচরো বিক্রেতা শেখ মুন্না জানিয়েছেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে টিকিট বিক্রি করেননি। তবে তিনি ঠিক কাকে টিকিট বিক্রি করেছিলেন, তা মনে করতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন।
সিবিআই তদন্ত করে দেখে ওই টিকিট প্রথম বের হয় বোলপুর চৌরাস্তার রাহুল লটারি সেন্টার থেকে।
অখার থেকে লাকি লটারি সেন্টারের মালিক রঞ্জিত ধীবর ওই টিকিট কেনেন।রঞ্জিত ধীবরের কাউন্টার থেকে বোলপুরের নাহিনা গ্রামের এক খুচরো বিক্রেতা টিকিট কেনেন।তার থেকেই নাহিনা গ্রামের এক বাদিন্দা ওই নির্দিষ্ট টিকিটটি কিনে নেন বলেই সিবিআই এর ধারণা।
এর পরে কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রত ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নগদে টিকিটটি কিনে নেন বলেই সিবিআই এর বিশ্বাস।সিবিআই অনুসন্ধান করে দেখেছে ওই টিকিট বোলপুর চিত্রা মোড়ের গাঙ্গুলি লটারি কাউন্টার থেকে ক্যাশ হয়।
এখনো সিবিআই এর তদন্ত চলছে।