আবার আন্দোলনমুখী সিপিএম
নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির পরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির খবরে সারা বাংলা ক্ষিপ্ত। কমবেশি প্রায় সব জেলায় শাসকদলের পঞ্চায়েতের নেতা কর্মীদের দোতলা, তিনতলা বাড়ি থাকলেও আবাস যোজনায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।এই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার নন্দকুমার ভিডিও অফিসে স্মারকলিপি জমা দেয়া সিপিএমের জেলা কমিটি। অভিযোগ, নন্দকুমার বিডিও অফিসে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে বিডিও অফিসের গেটে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের কর্মীরা। এরপরই সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে মহিষাদল নন্দকুমার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে। রাজ্য সড়কে বিক্ষোভের জেরে কার্যত তা অচল হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নন্দকুমার থানার পুলিশ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে সিপিএমের নেতা, কর্মীরা। জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিকে দলীয় কার্যালয় থেকে গ্রেফতারের অভিযোগও ওঠে।
ছবিতে দেখা যায় জেলা পার্টি অফিস থেকে জেলা সম্পাদককে পুলিশ নির্মমভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। মেদিনীপুরের নন্দকুমারের ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। শনিবার জেলাজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে সিপিএম। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নির্মমতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সোচ্চার হয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও।
মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘নন্দকুমারে আবাস যোজনায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জে আহত বহু কমরেড। পরবর্তীতে পার্টি অফিস থেকে জেলা সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলী-সহ বেশ কয়েকজন কমরেডকে ধরপাকড় করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে এর প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন অবিলম্বে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হওয়া মানুষের উপর পুলিশি অত্যাচার নামিয়ে আনছে তৃণমূল সরকার।’ অন্যদিকে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সিপিআই (এম)-এর ডাকে বিডিও অফিস অভিযানে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। মহিলাদের উপর নির্বিচারে লাঠি চলেছে। পার্টি অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পার্টির জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি-সহ কর্মী সমর্থকদের।’ এর প্রতিবাদে সোচ্চার সিপিএম।আবস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকার কোণঠাসা।এর পরে নতুন সঙ্কট সরকার কিভাবে মোকাবিলা করে তা দেখার বিষয়।