মেঘালয়ে রাহুলের মন্তব্যকে নিশানা অভিষেক-ডেরেক-শান্তনুর!
নিউজ ডেস্কঃ মেঘালয়ে প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। গোয়ায় বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গে হিংসা এ নানা কেলেঙ্কারির জন্য তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেছিলেন রাহুল গান্ধী। যার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সেই আক্রমণে সামিল হয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং শান্তনু সেনের মতো সাংসদরাও ।
মেঘালয়ে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপিকে আক্রমণ করলেও, তাঁর মূল লক্ষ্য যেন ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, সবাই তৃণমূলের ইতিহাস জানেন। বাংলায় হিংসার কথাও সবাই জানেন। সারদা কেলেঙ্কারির কথাও সবাই জানেন। সবাই তৃণমূলের ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন। তারা গোয়ায় গিয়ে বিপুল অর্থ খরচ করে বিজেপিকে সাহায্য করেছে। মেঘালয়েও তারা ঠিক একই কাজ করছে। তৃণমূল মেঘালয়ে বিজেপিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি তাদের জয় নিশ্চিত করছে, বলেছিলেন রাহুল।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগের কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই টুইটারে আক্রমণ শানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, কংগ্রেস বিজেপিকে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কংগ্রেসকে অযোগ্য এবং অপ্রাসঙ্গিক বলেও বর্ণনা করেন তিনি। অভিষেক দাবি করেন, তৃণমূল অর্থে নয়, মানুষের ভালবাসায় চালিত হয়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, যে যুক্তিতে কংগ্রেস তৃণমূলকে আক্রমণ করছে, সেযুক্তিতে পাল্টা প্রশ্ন ২০২১-এ বাংলার নির্বাচনে কংগ্রেস ৯২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, তখন কী তারা বিজেপিকে সাহায্য করেছিল। বলে রাখা ভাল ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করেছিল। কংগ্রেসের ৯২ টি আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনে লড়াই করেছিল বাম-আইএসএফ। অভিযোগ আরও বলেছেন, কংগ্রেস হল এমন একটি দল, যারা গত ৪৫ টি বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ৪০ টিতে পরাজিত হয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের প্রতিধ্বনী করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সাম্প্রতিক সময়ে গোয়ায় কংগ্রেস বিধায়কদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০২২-এর মার্চে গোয়ার জনগণ ১১ টি আসনে কংগ্রেসকে জয়ী করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই ১১ জনের মধ্যে ৮ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন এখানে কে কাকে সাহায্য করছে?
রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনও। তিনি কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রাকে কটাক্ষ করে বলেন, ভারতে একত্রিত করার আগে কংগ্রেসকে একত্রিত করা উচিত। তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেছেন, কয়েক মাস পরিশ্রম করার পরে, রাহুল গান্ধী যে কোনও মুহূর্তে বিদেশে ছুটি কাটাতে চলে যাবেন।