অভিষেকের সভাস্থলের পাশেই বসলেন চাকরিপ্রার্থীরা!
নিউজ ডেস্ক : হামলার আশঙ্কায় আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীরা। প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার ডিএ’য়ের দাবি আন্দোলন করছেন কর্মীরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ১০০ মিটারের মধ্যেই আজ বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। শর্তসাপেক্ষে সেই সভায় ছাড় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সেই মতো সভা হলেও একাধিক শর্ত দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। স্পষ্ট বলা হয়েছে যাতে এই সভা ঘিরে কোনও অশান্তি না হয়।
এমনকি ব্যারিকেড দিয়ে গোটা ধর্নামঞ্চ এবং অভিষেক সভাস্থল ঘিরে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো ইতিমধ্যে গোটা এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। মূলত হামলার আশঙ্কা থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিলেন আন্দোলনরত কর্মীরা। তাঁদের দাবি ছিল,ন এর আগে বোমা মেরে ধর্নামঞ্চ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছিল। এমনকি বিধায়ক নওসাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে আদালতের দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা।
আদালতের নির্দেশে গোটা এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হলেও আতঙ্কে আন্দোলনরত কর্মীরা। যে কোনও মুহূর্তে হামলা হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। আর তাই সভামঞ্চের চারপাশ নিজেরাই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, নানা ভাবে শাসকদলের তরফে তাঁদের দাবিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ধর্মঘটে সামিল হওয়ার জন্যে বিভিন্ন জায়গাতে কর্মীদের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না শুরু হয়েছে। এর আগে পুলিশের তরফে তাদের ধর্না তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়। যদিও আজ বুধবার সকাল থেকে ধর্মতলাতে ধর্নায় বসলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকি প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরাও ধর্নাতে সামিল হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কেউ কেউ আবার নুন-ভাতের থালা নিয়ে বসে রয়েছেন। তাঁদের দাবি দিনের পর দিন বঞ্চনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চনার অভিযোগে যদি ধর্নায় বসেন তাহলে তাঁরা কেন ধর্নায় বসতে পারবেন না? প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার দিকেও এগিয়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যা ঘিরে একটা অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। এমনকি ডিএ’য়ের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মীদে সামনেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিসিটিভির মাধ্যমেও গোটা এলাকা নজরদারি চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে যে জায়গাতে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন সেখানেও বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।