কংগ্রেস-তৃণমূলসহ সব দল কি আসবে স্ট্যালিনের মঞ্চে?
নিউজ ডেস্ক::বিজেপি-বিরোধী জোটে কি একযোগে শামিল হবে কংগ্রেস ও তৃণমূল? বাকি সব বিজেপি-বিরোধী দল কি আসবে এম কে স্ট্যালিনর গড়া মঞ্চে? সোমবার দিল্লিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে স্ট্যালিনের পক্ষ থেকে। ফেডারেশন ফর সোশ্যাল জাস্টিসের এই মঞ্চ আদতে মহোজেটর মঞ্চ হয়ে উঠবে বলে আশা রাজনাতিক মহলের।
এই মহাজোটের মঞ্চে কোন কোন দল উপস্থিত হয় তার দিকে তাকিয়ে থাকবে সবপক্ষই। পাটিগণিত বলছে বিরোধী মহাজোট গঠন করতে পারলে মোদী সরকারকে হটানো কঠিন হবে না। কিন্তু জোট গড়াই দস্তুর। বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে এই জোট গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত সমস্ত উদ্যোগই হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে।
কংগ্রেসকে জোটে শামিল করা নিয়ে বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে বিভাজন রয়েছে। একদল চাইছে কংগ্রেসকে ছাড়া বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলের জোট গড়তে। আর এক দল মনে করছে কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী জোট মূল্যহীন। এই দ্বন্দ্বেই বিরোধী জোট বেসামাল। এবার কংগ্রেস-বান্ধব এম কে স্ট্যালিনের উদ্যোগ কিন্তু অনেকটাই ইতিবাচক।
কংগ্রেসকে ছাড়া বিজেপি-বিরোধী জোট গড়ার উদ্যোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অখিলেশ যাদব, কেসি রাও, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা নিয়েছেন। কিন্তু রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হতেই বিরোধীরা সবাই এককাট্টা রাহুল পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে সব দল।
এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর আগে দিল্লিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে মহাজোটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিনের এই উদ্যোগ অনেকটাই ভিন্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, বিজেডি সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়ক ও জেডিএস নেতা কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠকের থেকে।
স্ট্যালিনের ডাকা এই বৈঠকে কংগ্রেস তো থাকবেই, থাকার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলেরও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং উপস্থিত না থাকলেও তাঁর প্রতিনিধি থাকার কথা। বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও ভারতীয় রাষ্ট্র সমিতির প্রতিনিধিও থাকবেন। এরা সাধারণভাবে কংগ্রেস বিরোধী। কিন্তু তারাও এবার প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে।
এম কে স্ট্যালিনের এই উদ্যোগ শামিল হবেন বাম নেতারাও সিপিএম ও সিপিআইয়ের সম্পাদক যথাক্রমে সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজার উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা। এছাড়া বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন, আপ নেতা সঞ্জয় সিংও থাকবেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে থাকার কথা সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের।
বিজেপি বিরোধী মহাজোটের মঞ্চে সব মিলিয়ে ১৬টি দল যোগ দিতে পারে। অনেকে ভার্চুয়ালিও উপস্থিত থাকতে পারেন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব থাকবেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লির মুখ্যমন্রীত বা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও তাদের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে থাকবেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, আপের পক্ষে সঞ্জয় সিং, বিআরএসের পক্ষে কেশব রাও থাকার কথা। জম্মু ও কাশ্মীরের নেতা ফারুক আবদুল্লা ছাড়াও অনেকে উপস্থিত থাকতে পারেন। তবে বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টির কেউ থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তেলেগু দেশম, জেডিএস ও জেডিইউ থাকবে কি না স্পষ্ট নয়।