উদ্ধারণপুর ঘাট ও মহাশ্মশান যাওয়ার রাস্তা বেহাল, উদাসীন প্রশাসন
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমানঃ- ১৯৪০ এর দশকে উদ্ধারণপুর ঘাটে এসেছিলেন লেখক অবধূত, তার লেখা ‘উদ্ধারণপুর ঘাট’ বইয়ের প্রশস্তি আজও শোনা যায় পাঠকের মুখে মুখে। সেই উদ্ধারণপুর ঘাটের সাথে লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। শোনা যায়, এই ঘাটেই বিভিন্ন তিথিতে স্নান করতে আসতেন কবি জয়দেব থেকে চণ্ডীদাস। এককথায় স্নানঘাট ও মহাশ্মশান হিসাবে এই স্থানের খ্যাতি ছিল সুদূর বেনারস পর্যন্ত তাই গোটা বীরভূম, বর্ধমানের এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশের মানুষ আজও গঙ্গাস্নান ও মৃতদেহ সৎকারের জন্য নির্ভরশীল এই ঘাটের উপর অথচ এই ঘাট ও শ্মশান যাওয়ার বেহাল। অল্প বৃষ্টিতেই গোটা রাস্তা যেন কয়েকটি ডোবার সমষ্টিতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ প্রশাসনের দায়বদ্ধতার উপর গিয়ে পড়ছে। সম্প্রতি সময়ে এই রাস্তার সংস্কার হয় নি, সেই প্রসঙ্গে গঙ্গাটিকুরির বাসিন্দা বিষ্ণু মণ্ডল বলেছেন “গত কয়েক মাস ধরেই একই হাল এই রাস্তার, আমরা মৌখিক অভিযোগ করেও কোনও ফল পাই নি “। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।