ধরা পড়লো হুগলীর কুখ্যাত মস্তান টোটন বিশ্বাস
প্রিয়া করাতি- অবশেষে ধরা পড়লো হুগলীর ত্রাস টোটন বিশ্বাস। প্রসঙ্গত চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা টোটন বিশ্বাস জেলার কুখ্যাত সমাজবিরোধীদের মধ্যে অন্যতম। যৌবনের বহু সময়ই শ্রীঘরে কাটিয়েছে টোটন। বছর দু’য়েক আগেও সংশোধনাগারে ছিলো সে। পুলিশের অভিযোগ মুক্তি মেলার পর থেকে আবারও নিজের কালো সাম্রাজ্য চালাচ্ছিলো টোটন। খুন, ডাকাতি, তোলাবাজি সবকিছুতেই পারদর্শী ছিলো সে। অভিযোগ চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকা টোটন নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছিলো। তাই জিটি রোড থেকে রবীন্দ্রনগরে অচেনা ব্যাক্তি ঢুকলেই টোটন এন্ড কোম্পানীর কর্মচারীদের জেরার মুখে পরতে হতো। পছন্দ না হলেই মাথায় আগ্নয়াস্ত্রের স্পর্শ পাওয়া থেকে রক্ষে নেই। এই অনৈতিক কাজে প্রযুক্তি ব্যাবহারেও পিছপা ছিলো না টোটন। জিটি রোডে রবীন্দ্রনগর মোড় থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত সিসিটিভি বসিয়েছিলো টি কোম্পানী। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন টোটনকে ধরার জন্য পুলিশ কোনরকম খামতি রাখেনি। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চুঁচুড়ার ধান্য গবেষনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে কমিশনারেটের একাধিক আধিকারিকদের নেতৃত্বে পুলিশ হানা দেয়। সেখান থেকেই টোটন বিশ্বাস সহ তার দুই সাগরেদ কিশোর বিশ্বাস(লেবু) ও প্রবীর মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৩৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোট ৭টি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন রবিবার চুঁচুড়ার বিশেষ আদালতে তিনজনকে তুলে পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ধারা রুজু হতে পারে।