“অঙ্গ দান জীবন দান” বার্তা পৌঁছে দিতে বাইক নিয়ে ভারত ভ্রমনে প্রমোদলক্ষণ মহাজন
অপর্ণা দাস, নিউজ ডেস্ক : মৃত্যুর পরও আমরা বেঁচে থাকি। কথাটা শুনে প্রথমে থমকে গেলেও বিষয়টি বর্তমানে এখন আর কারোও কাছে অজানা নয়। অঙ্গদানের মাধ্যমে আমরা অপরের জীবনে বেঁচে থাকার আলো এনে দিতে পারি। কিডনি, লিভার, হৃদপিণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ফলে উপকৃত হচ্ছেন বহু রোগী৷ ব্রেন ডেথ’ রোগীর কিডনি, হার্ট, লিভার-সহ বিভিন্ন অঙ্গ একজন অসুস্থ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপিত করে রোগীকে নতুন জীবন দেওয়া সম্ভব৷ একজনের অঙ্গদানে ফিরে পাওয়া যেতে পারে একাধিক সন্তানের প্রাণ। কিন্তু একথা জানা বা বোঝার পরও অনেকেই নারাজ তাঁর আপনজনের নশ্বর দেহটা ছিন্নভিন্ন করে প্রয়োজনীয় অঙ্গগুলি অপরের দেহে প্রতিস্থাপন করতে। অঙ্গদান ব্যাপারে তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে অভিনব উদ্যোগ শুরু করেছেন ৬৮ বছরের বৃদ্ধ প্রমোদলক্ষণ মহাজন।
জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে তিনি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। বরং মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে বাইক নিয়ে ভারত ভ্রমণে বেরিয়েছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই, ‘অঙ্গ দান জীবন দান’ এই কথাটি আরও বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে, আরও বেশি মানুষকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করতে।
ঘুরতে ঘুরতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরে পৌঁছে প্রমোদবাবু জানান, অপরের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি এই মহান কাজে সকলকে এগিয়ে আসার বার্তা স্বরূপ তিনি নিজে একটি কিডনি দান করেছেন। ভারত অর্গান যাত্রার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিক নাম “রিবার্থ”। তিনি চান একজন মানুষ এই রিবার্থ কর্মসূচিতে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে যুক্ত করুন। যাতে একজন ব্যক্তি তাঁর অঙ্গ দানের মাধ্যমে একটি জীবন রক্ষা করতে পারে। যাতে একটু বেশি বাঁচার সুযোগ পেয়ে আপনজনের সঙ্গে সুখ দুঃখ ভাগ করে নিতে পারে।
চলতি বছরের ১৮ই জানুয়ারি পুনে থেকে শুরু হয়েছে তাঁর এই সচেতনতা যাত্রা। এরপর একে একে গোয়া, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা হয়ে পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গেও। ১২৫ দিনে সাড়ে সতেরো হাজার কিলোমিটার এবং ১৫ কোটি মানুষের সঙ্গে সংযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রমোদলক্ষণ মহাজন।।।