সত্যি কোনটা আর মিথ্যে কোনটা, নিজের বুদ্ধিতেই বিচার করুন
নিউজ ডেস্ক: কঠিন পরিস্থিতিতে যেখানে বার বার প্রচার করা হচ্ছে রাজনীতি বন্ধ করতে সেখানে মিথ্যে রাজনীতির বৈঠক বসেছে বাহবার সঙ্গে। মিথ্যে বলতে একটি কথা মাথায় এল, স্বাধীনতার পর থেকেই প্রত্যেকে মিথ্যে ও রাজনীতি শব্দটি আপন করে নিয়েছে। তাতে সত্যি কোনও সন্দেও নেই। তার সঙ্গে আপন করা হয়েছে কঠিন পরিস্থিতিতে দাঙ্গা নয় ঠান্ডা যুদ্ধের মাধ্যমে জয় এর কথা। যা এখন আমাদের রাজ্যে চলছে। এবার আসা যাক আসল কথায়, দেশের যেমন একটি নিয়ম আছে তেমনি দেশের মধ্যে থাকা রাজ্যেরও আলাদা কিছু নিয়ম থাকে যা কখনই লঙ্ঘন করা যায় না। আর কঠিন পরিস্থিতিতে যেখানে সব কিছু বন্ধ করা হয়েছে সেখানে বাইরের কেউই বিনা অনুমতিতে কোথাও যেতেও পারবে না এবং কেউ আসতেও পারবে না এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এক্ষেত্রে পুরোপুরি উল্টো। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য গুলি ঠিক কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৬ টি প্রতিনিধি দলকে দেশের চারটি রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল রাজ্য সরকারের বিনা অনুমতিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কি করে রাজ্যে ঢুকলো? এমনকি রাজ্যের ঢোকার পর কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকারকে জানানো হচ্ছে যে প্রতিনিধিদল রাজ্যে এসেছে। কি অবাক কান্ড তাই না।
দেশের বাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একটু অন্য পদ্ধতি মানে হল নিজেই কোমর বেঁধে রাস্তায় নেমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পরামর্শ দিয়েছেন। এমনকি কি কি নিয়ম মেনে চলা উচিত তাও তিনি বলেছেন। শহরের যে যে হাসপাতাল গুলি করোনাভাইরাস এর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে প্রত্যেক হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন তিনি। মনে হয় না দেশের বাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ঠিক একই রকম ভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তারপরেও তার দিকেই আঙ্গুল তুলেছে সবাই।
এক্ষেত্রে সবার মনেই প্রায় কিছু প্রশ্ন এসেছে। প্রশ্নগুলি হল ঠিক এই রকম যেমন,
প্রথম প্রশ্ন দেশের যে চারটি রাজ্যে ৬ টি প্রতিনিধিদলকে পাঠানো হয়েছে সেই রাজ্যগুলি বিজেপি শাসিত রাজ্য না। অর্থাৎ এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির শাসন চলে না। তাহলে দেশের বাকি রাজ্য গুলিতে কেনও পাঠানো হল না প্রতিনিধি দল? তারা কি দোষ করল?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, এমন হত যে রাজ্যের করোনা সংক্রমনের সংখ্যা বেশি সেই রাজ্যগুলিকে দেখতে এসেছে প্রতিনিধি দল তাহলে তা মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু তার মধ্যে তো পশ্চিমবঙ্গ পড়ে না তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কি করছে প্রতিনিধি দল?
তৃতীয় প্রশ্ন, যখন এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসছে তখনই প্রতিনিধিদল দের পাল্টা অভিযোগ রাজ্য তাদের কোন ভাবে সাহায্য করছেন না।
চতুর্থ প্রশ্ন, রাজ্যপালের কাছে কি এমন কোন তথ্য আছে রাজ্যের বিরুদ্ধে বা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যা তিনি কেন্দ্রকে পেশ করেছেন? আর তার জন্যই রাজ্যে এসেছে প্রতিনিধিদল।
পঞ্চম প্রশ্ন, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত যা তার থেকে বেশি ছড়ানো হচ্ছে আতঙ্ক। এমনকি অন্যান্য অনেক রোগে মারা পড়ছে মানুষ কিন্তু বলা হচ্ছে করোনা আক্রান্ত মারা যাচ্ছে মানুষ সে ক্ষেত্রে কি করবে মুখ্যমন্ত্রী। দোষ এসে পড়ছে তারিই ঘাড়ে। আর তখনই অভিযোগ উঠছে তথ্য ভুল দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রকে।
শেষ প্রশ্ন রাজ্যপাল কে বা কারা বিভ্রান্ত করল? কোনও রাজনৈতিক দল নাকি অন্য কোন সংগঠন যার জন্য তিনি বারবার যেকোন ভাবে যে কোন উপায় মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলছেন।