কারা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন তা ঠিক করে দিল কেন্দ্র-রাজ্য গাইডলাইন
নিউজ ডেস্ক: সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে ওঠা একটি বক্তব্য যেখানে তিনি বলেছিলেন যে করোনার চিকিৎসায় এবার বাড়িতে বসেই হবে। সেই নিয়ে নানান জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। এবার সেই বিষয় নিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্যের পরামর্শে তৈরি হল একটি গাইডলাইন। যা প্রকাশ পেয়েছে। গাইডলাইন অনুযায়ী বলা হয়েছে, কাদের হোম আইসোলেশন রাখা যেতে পারে? এবং তার জন্য কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে? সেটি বিস্তারিতভাবে গাইডলাইন বলা হয়েছে। বিস্তারিত বিষয় হলো কোনো রোগীর নমুনা পরীক্ষার পরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেলে, চিকিৎসকরা তার উপসর্গ দেখে ঠিক করবেন যে রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস এর মাত্রা ঠিক কতটা অর্থাৎ যদি তার উপসর্গ যদি প্রি সিম্পটম্যাটিক বলে মনে করা হয়, তাহলে হোম আইসোলেশন থাকার পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসকেরা। তবে সে ক্ষেত্রে পরিবারের বাকি সদস্যদের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়াও আইসোলেশনে থাকা রোগীকে ২৪ ঘন্টা দেখাশোনা করার জন্য একজন আয়া রাখা হবে। যিনি হাসপাতালের তরফ থেকেই আসবেন। এছাড়াও রোগীর সংস্পর্শে আসা আয়া ও পরিবারের বাকিদের প্রত্যেককেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধ খেতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেকের ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করে তার ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই অন করে রাখতে হবে। রোগীর শারীরিক অবস্থা প্রতিদিন ঠিক কি হচ্ছে সে ব্যাপারে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়মিত খবর দিতে হবে। এমনকি রোগী যে হোম আইসোলেশন এ থাকতে চায় সে ব্যাপারে লিখিত দিতে হবে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে।
এবার আসা যাক চিকিত্সকেরা কোন পর্যায়কে প্রি সিম্পটম্যাটিক বলে মনে করছেন। সেগুলি হল শ্বাসের সমস্যা, বুকে ব্যথা বা পেশিতে ব্যথা, স্ট্রেস বা ঘুমের সমস্যা, হঠাৎ করে মুখ বা ঠোঁটের রঙ বদলে যাওয়া ইত্যাদি।