প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর
নিউজ ডেস্ক: চলচ্চিত্র জগতে একের পর এক নক্ষত্র পতন। গতকাল অর্থাৎ বুধবার সকলকে ছেরে চলে গিয়েছেন ইরফান খান। আর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আবার এক বর্ষীয়ান বলি তারকা ঋষি কাপুর চলে গেলেন। ইরফান খানের মতো তিনি ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। কিন্তু আজ সব লড়াই এর শেষ। মৃত্যু কালে তার বয়স হয় ছিল ৬৭। বুধবার গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে মুম্বাইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। যার জন্য তিনি আমেরিকাতে গিয়েও নিজের এই কঠিন রোগের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন। যদিও বুধবার দিন তাকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঋষি কাপুর হাসপাতাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দিল্লিতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ যোগ দিয়েছিলেন তিনি, আর তখনই তিনি অসুস্থ হয়ে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি তার পরিবারে স্ত্রী নিতু কাপুর, দুই সন্তান ঋদ্ধিমা কাপুর সিনহা ও অভিনেতা রণবীর কাপুরকে রেখে চলে গেলেন।
১৯৫২ সালে ৪ সেপ্টেম্বরে জন্ম হয় অভিনেতা পরিচালক প্রযোজক ঋষি কাপুরের। ১৯৭০ সালে বাবা রাজ কাপুরের সঙ্গে প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন ঋষি কাপুর। মেরা নাম জোকার সিনেমার মাধ্যমে তিনি অভিনয় জগতে আসেন। এই সিনেমাটি নেশনাল ফিলম আওয়ার্ড পেয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে একের পর এক অসাধারণ ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে ববি ছবিটি করে তিনি ফিল্মফেয়ার বেস্ট অ্যাক্টর আওয়ার্ড পেয়েছিলেন। লায়লা মজনু, সারগাম, কর্জ, প্রেম রোগ, ইয়ে ওয়াদা রাহা, বল রাধা বল, কাভি কাভি, আপ কে দিওয়ানে, সাগর, দিওয়ানা (১৯৯২), দারার (১৯৯৬), ইয়ে হ্যে জালওয়া (২০০২), হাম তুম (২০০৪), ফান্না (২০০৬), লাভ আজ কাল (২০০৯), পাতিয়ালা হাউস (২০১০)। শুধু যে ভারতীয় সিনেমা জগতে তিনি আবদ্ধ ছিলেন তারা নয়। ব্রিটিশ সিনেমাও করেছেন তিনি। ডোন্ট স্টপ ড্রিমিং (২০০৭) এবং সাম্বার সালসা (২০০৮)। দীর্ঘদিনের কঠিন রোগের সঙ্গে লড়াই করে শেষমেষ চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।