ক্ষুধার্ত শ্রমিকদের মাঝপথে ফেলে পালালো গাড়ি ,শ্রমিকদের ঘিরে চাঞ্চল্য ,চালককে ঘিরে উত্তেজনা
কোচবিহার :-লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে কাজ কর্ম ,বাড়ি ফেরার উদ্যেশ্যে রওনাদেন ১৯ জন শ্রমিক৷কিন্তু ,বাড়ি পৌঁছানোর আগে মাঝ পথে রাস্তায় শ্রমিকদের নামিয়ে দিয়ে গাড়ি সহ চম্পট দেন চালক৷পরে গাড়ির চালককে যোগাযোগ করে নিয়ে আসা হলে চালককে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়৷ঘটনাটি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহে ,গতকাল রাত ১০ টা নাগাত জামালদহ বাজারের রাস্তার পাশে ১৯ জন শ্রমিককে রেখে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় দুইজন চালক৷
শ্রমিকদের বাড়ি কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের গোলেনাহাটি এলাকায় ৷শ্রমিকরা জানিয়েছেন তারা শিলিগুড়ি থেকে বৃহষ্পতিবার বিকেলে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে উদ্যেশ্যে রওনাদেন ,জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতু এলাকা থেকে দুটি ছোট গাড়িতে শীতলকুচিতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভাড়া করে নেন ৷ কিন্তু ,গাড়ি দুটি তাদের বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে মাঝপথে জামালদহে নামিয়ে দেয়৷অপরিচিত শ্রমিকদের একসঙ্গে দেখে জামালদহের স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন৷অপরিচিত মানুষদের এভাবে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়৷খবর পেয়ে ছুটে আসে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ ৷যে দুটি গাড়ি তাদের ফেলে দিয়ে চম্পট দিয়েছে সেই গাড়ির চালকদের ফোন করে ফিরিয়ে আনে জামালদহের বাসিন্দারা৷এরপর ,ওই দুই চালককে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়৷এরপর , রাতেই পুলিশ ওই দুটি গাড়িতে করে মেখলিগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়৷ শ্রমিকদের মধ্যে নার্গিস বিবি ,আকিবুল ইসলাম ,মামিনা বিবি জানান “তারা শিলিগুড়ি থেকে পায়ে হেঁটে আসার পথে তিস্তা সেতুর এলাকায় দুটি গাড়ি ভাড়া করেন ,বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল ,কিন্তু ,চালক দুজন তাদের এখানে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়৷বৃহষ্পতিবার সন্ধা থেকে তারা অভুক্ত ছিলেন ,কিন্তু ,তারা বাড়ি পৌঁছতে পারছেন না৷রাতের বেলা অপরিচিত মানুষজন এভাবে আসায় আতঙ্ক ছড়ায় জামালদহে ,স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান৷ শ্রমিকরা কোন রাজ্যে থেকে ফিরছেন সেটা স্পষ্ট প্রকাশ করেননি,কোথায় কাজ করতে গেছেন তাও জানাননি৷শুধু অস্পষ্ট ভাবে শিলিগুড়ি থেকে ফিরছেন এটাই জানিয়েছেন৷স্থানীয় বাসিন্দারা জানান “ঘনবসতি এলাকা জামালদহ ,এমনইতেই ,আতঙ্কে রয়েছেন তারা ,গাড়ির চালক কেন তাদের এভাবে রেখে চলে গেলো ।মেখলিগঞ্জ পুলিশের তরফে জানা যায় “শ্রমিকদের বাড়ি শীতলকুচি ,শীতলকুচি থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের শীতলকুচিতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে “৷