মৃত নাবালক পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে তৃণমূল নেতার সাহায্য, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

0 0
Read Time:4 Minute, 45 Second

মালদা;3 জুন: মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা নাবালক পরিযায়ী শ্রমিক পীযূষ দাস মালদা মেডিকেল কলেজ এ মারা যান। মঙ্গলবার তার দেহ মালদার সদুল্লাপুর শ্মশানে দাহ করা হয়। তার পরিবারের লোকের অভিযোগ ছিল মুম্বাই থেকে ট্রেনে অনাহারে তিনদিন ধরে সফর করে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর পৌঁছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর মালদা মেডিক্যাল ভর্তি করা হলে সেখানে মারা যান পীযূষ দাস। এই মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ সকালে মনোহরপুরে পীযূষ দাস এর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি বুলবুল খান। তিনি আজ সকালে এলাকায় ছুটে যান এবং ওই পরিবারটির হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য সহ চালডাল আলুকাবলি খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। পরিবার টির আগামীতে কোনো প্রয়োজন পড়লে তাদের পাশে সব সময় থাকার আশ্বাস দেন বুলবুল বাবু। তিনি জানান এলাকায় ওই পরিবারটির খুবই গরীব। আমি আজকে ওদের কিছুটা সাহায্য করলাম। আগামীতে ওদের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে যা যা সাহায্য করা যাবে তার সবটাই ব্যবস্থা করব। বুলবুল বাবু আরো জানান এই শ্রমিক মৃত্যুর পেছনে সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র সরকার দায়ী। বুলবুল বাবুকে কাছে পেয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি পীযুষের পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে পরপর দুদিন 2 পরিযায়ী শ্রমিকের অকাল মৃত্যুর খবরে এলাকায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

স্থানীয় বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম পরিচয় শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য সরাসরি কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে দায়ী করছেন। তিনি জানিয়েছেন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অপরিকল্পিত চিন্তা-ভাবনার ফলে দেশে এমন দুরাবস্থা। তিনি অবিলম্বে এই মৃত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সরব হয়েছেন।এবং শ্রমিকদের পরিবারকে যাতে 100 দিনের কাজ দেওয়া হয় সে ব্যাপারেও তিনি উপর মহলের দাবি জানাবেন।

সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস এদিন পরিবারটির হাতে কিছু ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। তিনি জানান পরিকল্পনাবিহীন ভাবে লকডাউন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিশাল ক্ষতি করল। কেন্দ্র সরকার এ এভাবে লকডাউন না করলেও পারত। শ্রমিকদের জন্য আরেকটু যত্নবান তাদের প্রাণ যেত না।

হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নং ব্লকের বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া জানান পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য কোনমতেই কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী নয়, লকডাউন এর মাঝে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে দেশের সব প্রান্তের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিড়িয়েছে মোদি সরকার | করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য রাজ্য কে 2000 কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু সেই টাকা ক্লাব গুলোকে দান করছেন রাজ্য সরকার বলে অভিযোগ তোলেন তিনি |

স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রনাথ রায় জানান এই দুঃসময়ে কেন্দ্র-রাজ্য উভয় দেশের মানুষকে নিয়ে ছেলে খেলা খেলছে, দুই সরকারের দুই সরকারের করোনা মোকাবেলায় পরিকল্পনার অভাব দেখা যাচ্ছে তাতে করে সাধারণ মানুষ মৃত্যুর দিকে ঝুঁকছে |

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!