পুজোয় চন্দননগরের নতুন নতুন আলোর খেলা এবার করোনার গ্রাসে

0 0
Read Time:2 Minute, 59 Second

সুমন করাতি [হুগলী] রথের দিনই চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের হালখাতার রেওয়াজ বহু পুরোনো প্রথা। এই দিনই বড়সর দুর্গা পুজো কমিটি গুলি নুতন বছরের আলোর জাদু কি হবে সেই বরাত দিতে চন্দননগর আসেন । পুজো কমিটি গুলির থেকে বায়না নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন এখানকার আলোর জাদুকররা। কিন্তু এবছর সব কিছু থমকে গেছে করোনার আবহে। এখানকার এক প্রখ্যাত আলোক ব্যাবসায়ী বাবু পাল জানালেন চন্দননগরের আলোর খ্যাতি জগৎ জোড়া। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সাগরপারের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আলোর ভেলকি দেখাতে সারা বছর বাস্ত থাকেন এখানকার আলোক শিল্পীরা। কিন্তু এবছর সব কিছু স্তব্ধ। কলকাতা দিল্লি মুম্বাই প্রভৃতি স্থানের বড় বড় পুজো কমিটিগুলি এই রথ যাত্রার দিন বায়না নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। কিন্তু এবছর কেউ জানে না আদৌ পুজো হবে কিনা । তাছাড়াও আমাদের যে সমস্ত কর্মচারীরা আছেন তারাও লকডাউনের কারণে কর্মহীন।

আমাদের পুঁজি যা কিছু সারা বছরের বরাতের উপর নির্ভর করে। যা উপায় হয় তাই দিয়ে নুতন বছরের ভাবনা নিয়ে দুর্গা পূজার দর্শনার্থীদের কাছে হাজির হই। কিন্তু এবছর কি হবে তা মা ই জানেন। আলোক শিল্পীদের মতো মৃৎশিল্পীদের কাছে রথের দিনটি অতি প্রবিত্র দিন। কারণ এই দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে মা দুর্গার প্রতিমায় মাটির প্রলেপ দেন শিল্পীরা । হুগলির প্রখ্যাত মৃৎশিল্পী স্বপন পালের বক্তব্য অন্যবার এই সময় প্রতিমার কাঠামো সম্পূর্ণ হয়ে যায় । পুজো কমিটির কর্তাদের আনাগোনায় বাস্ত থাকে গোলা। এবছর কি হবে তা ঈশ্বরই জানেন । এবছর অন্নপূর্ণা পূজা বাসন্তী পূজা মা ভবানির পূজা মহাবীর জয়ন্তী সবই হয়েছে ঘট ও পটের মাধ্যমে। এর উপর চার মাস লক ডাউনে নিঃস্ব হয়েছে শিল্পীরা। এখনো পর্যন্ত দু চারটি প্রতিমার বরাত পেয়েছি , কিন্তু তাতেও আশঙ্কা থেকে যায়। মহামারীর আতঙ্ক কাটিয়ে সব কিছু আবার স্বাভাবিক হবে ? এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে শিল্পীদের।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!