ধীরে ধীরে মাইথন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে
নিউজ ডেস্ক: লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাইথনে পর্যটকদের আগমন। তারফলে এই এলাকায় অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছলো। বিভিন্ন হোটেল ও লজ গুলি বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছিলো বহু ব্যাবসায়ী। এখানে শুধু ব্যবসায়ী বললেও হবে না, পর্যটকদের ঘিরে জড়িয়েছিল অনেক কিছু। যেমন- মাইথন নৌকা ঘাট, কল্যানেশ্বরী মন্দিরের দোকানদার, অটোচালক, রিক্সা চালক সকলেই কর্মহীন হয়ে পড়েছিলো। যারফলে অর্থনৈতিক সংকটের এক চরম পর্যায়ের মধ্য দিয়ে চলতে হয়েছিলো এলাকাকে।
বর্তমানে লকডাউন কিছুটা অস্থিল হয়েছে, কিন্তু তাতেও কোনো জমজমাট দেখতে পাওয়া যায়নি, কল্যানেশ্বরী ও মাইথনে।
করোনা ভাইরাসের ভয়ে এবং প্রশাসনের জাগ্রতার কারণে মানুষ সাবধানী হয়ে পড়েছে। যার ফলে তারা আজও প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে থেকে চাইছে না। তাই অস্থিল লকডাউন অবস্থাতেও মাইথন ও কল্যানেশ্বরী এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না বর্তমানে।
তবে এতো নিরাসার মধ্যেও এই দুই এলাকার ব্যাবসায়ী ও হোটেল এবং লজের ব্যাবসায়ীরা বলছেন মাইথন ও কল্যানেশ্বরীতে পর্যটকদের যেমন আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো ঠিক তেমনি গত দুই-তিন জাবত আবার পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে, যা আসার আলো দেখাচ্ছে কল্যানেশ্বরী ও মাইথনের ব্যাবসায়ীদের ক্ষেত্রে।
এর থেকে আসা করা যেতেই পারে ধীরে ধীরে আগামীদিন গুলিতে পূনরায় পর্যটকদের ভিড় দেখতে পাওয়া যাবে মাইথন ও কল্যানেশ্বরী অঞ্চলে। এই বিষয়ে নিয়ে নৌকাচালক মুনির আনসারি বলেন সরকারি নির্দেশ পাওয়ার পরে মাইথন নৌকা বিহার চালু করা হয়েছে, চালু করার পরেও পর্যটকদের দেখা পাওয়া যাচ্ছিলো না,কিন্তু বর্তমানে কিছু দিন থেকে পর্যটকরা আসছে ঘুরতে মাইথন ও কল্যানেশ্বরী এলাকায়,এদের ভরসায় আমাদের সংসার চলে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নৌকাচালকরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি,এই ভাইরাস থেকে সতর্কতা সরূপ আমরা নিয়ম লাগু করেছি যে যেসব পর্যটক নৌকাতে চাপবে তাদের মুখে মাক্স ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে,তাছাড়া নৌকাতে পর্যটকদের চাপানোর আগে তাদের হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে, এবং নৌকাতে ভ্রমণ করে আসার পর পুরো নৌকাটি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।আগের তুলনায় পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে, আমাদের বিশ্বাস পূনরায় আগামী ছন্দে ফিরে আসবে মাইথন পর্যটন কেন্দ্র।
এই প্রসঙ্গে হোটেল ম্যানেজার অমিত ঘোষ বলেন লকডাউনের জেরে অনেক দিন ব্যাবসা বন্ধ ছিলো,প্রচুর ক্ষতি হয়েছে হোটেল ব্যাবসায়ীরা কিন্তু বর্তমান সময়ে সরকারি আদেশ অনুসারে খোলা হয়েছে হোটেলগুলি,ধীরে ধীরে পর্যটকরা আসছে, তাদের সুবিধার্থে প্রতিটি হোটেলে স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে,সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে,এবং সঠিক প্রমানপত্র নিয়ে লজে রুম দেওয়া হচ্ছে,কিন্তু যেসব অঞ্চলে করোনার প্রকোপ বেশি সেই সব জায়গার মানুষদের মেডিকেল টেস্ট করে প্রশাসনকে জানিয়ে রুম দেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের জন্য ৫০জনের বেশি মানুষকে লজের হল রুম দেওয়া হবে না। এখানো বিয়ের ক্ষেত্রে ক্ষতি হচ্ছে মানুষ আসছে, হলরুম ভাড়া নিতে কিন্তু তাদের জানানো হচ্ছে ৫০ জনের বেশি মানুষের আগমন করা যাবে না তখন আর ভাড়া নিচ্ছে না, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ির মধ্যে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কল্যানেশ্বরী ও মাইথন অঞ্চলটি সেই চেনা ছবিতে দেখতে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।