২১’ সরকার থাকলে আজীবন সাধারণ মানুষকে ফ্রিতে রেশন ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে
নিউজ ডেস্ক: করোনার কারণে ২১ জুলাই এর জন্য বিশাল সভা এবার তৈরি করা গেল না। যার জন্য সভা শুরুতেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দিনের ভার্চুয়াল সভায় তিনি জানিয়েছেন যে আগামী বছর আরও বড় করে ঐতিহাসিক সভা করবেন তিনি। যার প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ধর্ম তলায় বৃহৎ আকারের সভা হচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু ৬২,৬০০ বুথে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূলের জোড়া ফুল। এই দিনের ভার্চুয়াল সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে সারা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তাণ্ডব। ভারত-চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের স্যালুট জানাই এবং করোনা আক্রান্তের শহীদ যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে বর্তমানে ১০ কোটি মানুষকে ফ্রিতে রেশন দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আগামী দিনে এই সরকার থাকলে ফ্রিতে রেশন ফ্রিতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা পাবে সাধারণ মানুষ। বাংলাকে যত অপমান করা হবে ততই আমরা প্রতিবাদ করব। বহিরাগত কোন ভাবেই বাংলাকে চালাতে পারেনা। বাংলার মানুষই বাংলা কে চালাবে।
এনআরসি নিয়ে আগেও লড়াই করা হয়েছে আগামী দিনেও লড়াই করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ধর্মকে টেনে এনে জানিয়েছেন যে হিন্দু ঘরের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও পাঞ্জাবি ও জৈনরা আমাদেরই অংশ। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন সাধারণ মানুষের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন যে আমফানে বাংলার কি প্রাপ্ত হয়েছে তা কি একটি মানুষও খেয়াল রেখেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্ত ট্রেনের খরচা রাজ্য সরকার দিয়েছে। বাংলা এমন একটা জায়গায় অবস্থিত যেখানে একাধিক রাজ্যের সীমান্ত তাই অন্য রাজ্য থেকে বা অন্য দেশ থেকে বাংলায় বহু মানুষের চলাচল রয়েছে। সেইসঙ্গে এসেছে রোগও। করোনা আগের থেকে রাজ্যে বেড়েছে। কিন্তু তাতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। টেস্ট এর মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে রাজ্যে। মৃত্যুর হার কম।
বিরোধীদলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়েছেন যে একটিমাত্র নির্বাচন হয়েছে তাতে কয়েকটা সিট পেয়েছে বিরোধী দল। আর তার মধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসছে আইন-শৃঙ্খলা নেই নাকি রাজ্যে।
গ্যাংস্টার বিকাশ দূরের প্রসঙ্গ টেনে এনে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়েছেন, যে উত্তর প্রদেশে পুলিশের উপর গুলি চালানোর মত ঘটনা ঘটল তা কি দেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আয়নায় নিজের মুখটা যেন একবার দেখে কেন্দ্রীয় সরকার। পুলিশকে খুন করে দেওয়া হচ্ছে। যে খুন করেছে সেই আসামিকে আবার পুলিশ খুন করছে। যাতে কোন প্রমাণ না থাকে। ভারতীয় রেল কে পুরোপুরি ভাবে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিক্রি করা হচ্ছে কোল ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়াকেও। কেন্দ্রীয় সরকারের বলতে কিছুই থাকছে না।
কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কেন সরকারি কর্মচারীদের ছাঁটাই করছে? কেননা মাইনে দিতে পারবে না বলে। কিন্তু রাজ্য এক তারিখে সকল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মাইনে দিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলা প্রথম, ১০০ দিনের কাজেও বাংলা প্রথম। এমনকি ক্ষুদ্র শিল্পেও বাংলা প্রথম। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ৬ লক্ষ মানুষ বর্তমানে পেনশন পায়। আশা কর্মীদের মাইনে বাড়ানো হয়েছে।
দেশে বেকারদের হার বেড়েছে। কিন্তু বাংলায় বেকারদের হার কমেছে। পশ্চিমবাংলার ছাত্রছাত্রীরা সবথেকে বেশি স্কলারশিপ পেয়েছে। ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ক্ষুদ্র শিল্পে। যদি কেউ বাংলায় সরকার ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে তবে তাকে বরদাশ্ত কোনভাবেই করা হবে না। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ কর্ণাটক রাজস্থানে টাকা দিয়ে সরকার ভাঙ্গা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের মাথায় রাখা উচিত যে গুজরাট বা মধ্যপ্রদেশ বাংলা শাসন করবে না। বাংলার মানুষই বাংলা শাসন করবে।
মানুষকে ৪ হাজার টাকা ভিক্ষা দিয়ে ৪ হাজার কোটি টাকার লুফে নেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখে বিরোধীদল। ২০২১ এর বিধানসভা ভোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়েছেন যে, ২০২১ এ তৃণমূলই বাংলায় শাসন করবে। ২১ জুলাই দিচ্ছে ডাক বিজেপি বাংলা থেকে বিদায় যাক।
২১ পথ দেখাবে ভারতবর্ষকে।
উন্নয়নের কথা টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে ১০০ বছরে যাতে কয়লার অভাব না হয় তার জন্যই প্রজেক্ট তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপিকে বাংলা থেকে উৎখাত করার প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপিকে ভোট দিলে ইজ্জত কেড়ে নেওয়ার সমান হবে। বাংলার মহিয়সী কবিদের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।